লক্ষ্মীপুরে আমনের বাম্পার ফলন, ন্যায্যমূল্য দাবি
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
লক্ষ্মীপুরে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে হতাশায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, বাজারে ন্যায্যমূল্য পেলে ধানের ভর্তুকি দিতে হবে না। কৃষি বিভাগ বলছে, ধানের বাজারমূল্য ভালো। খাদ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে ধান বিক্রি করলে লাভবান হবেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে ৮১ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ২২ হাজার ৫০০ হেক্টর, রামগঞ্জে ৩ হাজার ১০, রামগতিতে ২৩ হাজার ৫০০, কমলনগরে ১৯ হাজার ৩৬৫, রায়পুরে ১২ হাজার ৮৯০ হেক্টর। এছাড়া ১৯৬টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে আগাম জাতের আমনের চাষ হয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে। এধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭২, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৭, বিনা-৭ ও ১৬ জাতের ধান।
সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের শীষ ভারী হওয়ায় গাছ নুইয়ে পড়ছে। কৃষকরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছেন। কেউবা ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকরা জানান, আমন ধানের রোগবালাই খুব কম। ফলন আশার চেয়ে বেশি হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে আমন ধান কাটা হয়। এবার অগ্রহায়ণের শুরুতেই ধান কাটতে পারছেন কৃষকরা। ন্যায্যমূল্য পেলে সব খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
তবে তাদের অভিযোগ, বাজারে নকল কীটনাশকে ভরপুর। নকল কীটনাশক ব্যবহার করে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের তদারকি না থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। নতুন জাতগুলোর ১৯৬টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। জমিতে বোরো চাষের আগে আলু-সরিষাসহ রবিশস্য উৎপাদন করতে পারবে। এটি কৃষকদের বোনাস ফসল। কৃষকের উৎপাদন-আয় দুটোই বাড়বে। এছাড়া বাজারে নকল কীটনাশকের ছড়াছড়ি। এ নিয়ে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
/মাহি/
আরো পড়ুন