ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হাইব্রিড আমের নতুন জাত বারি-১৮

মেহেদী হাসান শিয়াম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ২২ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৭:২৪, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
হাইব্রিড আমের নতুন জাত বারি-১৮

আম খাওয়ার মৌসুম শুরু হয় গোপালভোগ দিয়ে। এ আম যেমন মিষ্টি, তেমন স্বাদে ভরা। ফলে আমটি অনেকের কাছেই জনপ্রিয়। আক্ষেপের বিষয় গোপালভোগের ফলন কম হওয়ায় বাজারেও কম পাওয়া যায়। এটি ভাবিয়ে তোলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দীনকে। তার সেই ভাবনা থেকেই দীর্ঘ গবেষণায় মিলেছে সু-খবর।

গোপালভোগ আর বারি-১ আমের সাথে মিলন ঘটিয়ে (ক্রস) নতুন হাইব্রিড আম বারি-১৮ উদ্ভাবন করেছেন এই গুণী বিজ্ঞানী। ইতোমধ্যেই বারি ১৮ নামে নতুন হাইব্রিড আমের এ জাতটির নিবন্ধন দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড।

ড. জমির উদ্দীন বলেন, নতুন আমের এ জাতটি মধ্য জুন থেকে পাকা শুরু করে জুনের শেষ পর্যন্ত গাছে থাকবে। যারা গোপালভোগের মতো আম খাওয়ার কথা ভাবেন, তাদের জন্য এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। গোপালভোগ আমে ফলন কম হওয়ায় চাষিরা এ আম চাষে আগ্রহ হারান। নতুন জাতের আম চাষে চাষিরা আগ্রহী হবেন।

তিনি আমের গুণ সম্পর্কে বলেন, ল্যাংড়া আম ছাড়া অন্য কোনো আমে তেমন সুঘ্রাণ পাওয়া যায় না। নতুন এ জাতটিতে মিলেছে সুঘ্রাণ। এ ছাড়াও আমটির ফলন বেশি। গড় ওজনও প্রায় ২৪০ গ্রাম। খাওয়ার অংশ প্রায় ৭৫ ভাগ। মিষ্টতার পরিমাণ শতকরা ২৪.৬৭ ভাগ।

এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে ১৮টি বারি জাতের আমের মধ্যে ১৪টি উদ্ভাবন হয়। তার মধ্যে চারটি হাইব্রিড জাতের উদ্ভাবকই চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দীন। 

জেলা আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান বলেন, বারি-১৮ নামে নতুন হাইব্রিড আমের জাতটি চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন পাওয়ার পর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমাদের কেন্দ্র থেকে চারা-কলম তৈরি করে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে।

/মাহি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়