ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সর্দার বাড়ির হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা জেলাজুড়ে

অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৫:০১, ১৭ জানুয়ারি ২০২২
সর্দার বাড়ির হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা জেলাজুড়ে

চাঁদপুরের হাইমচরের সর্দার বাড়ির হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্বাদু ও ভেজাল মুক্ত হওয়ায় এই মুড়ি প্রতি সবাই আকৃষ্ট হচ্ছেন। আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে মুড়ি উৎপাদনের প্রতিযোগিতায় হাতে ভাজা মুড়ির কদর যেন জেলাজুড়ে সমাদৃত।

হাইমচরের ৬ নং চরভৈরবী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাড়া বগুলা গ্রামে গেলে হাতে ভাজা মুড়ি নিতে গ্রাহকদের বেশ সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 

এখানে মুড়ি নিতে আসা হোসেন গাজী, আরিফ, জাহিদুলসহ একাধিক ক্রেতা বলেন, বাজারের মুড়ির চেয়ে এখানকার হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ বেশি। তাই যাতায়াতে একটু কষ্ট হলেও আমরা চেষ্টা করি এখান থেকে এসে মুড়ি নিয়ে যেতে। দাম কিছুটা বেশি হলেও কোনো রকমের কেমিক্যাল না দেওয়ায় এই মুড়ি স্বাস্থ্যসম্মত। 

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, প্রথমে আগুনে মাটির হাঁড়ি বসাতে হয়, তার ওপর চাল ঢেলে এতে লবন-পানি মিশিয়ে হাতা দিয়ে নেড়ে নেড়ে চাল গরম করা হয়। তারপর মাটির হাঁড়িতে বালি গরম করে সেই চাল অল্প অল্প করে ঢেলে সলার সাহায্যে নেড়ে মুড়ি ভাজা হয়। তারপর চালনিতে নেড়ে মুড়ি থেকে বালি আলাদা করা হয়।

এলাকায় মুড়ি ভাজায় বেশ পরিচিত নিশী রানী। তিনি বলেন, প্রায় ২৫ বছর যাবত আমরা মুড়ি ভাজছি। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় মানুষ সরাসরি বাড়িতে এসে মুড়ি নিয়ে যান। আবার আশেপাশের বাজারগুলোতেও বিক্রি করি।

রূপ রানী, প্রমিলা রানীসহ একাধিক নারী বলেন, মুড়ি নিতে মানুষের উপস্থিতি বাড়ায় পরিবারের সবাই এ কাজে নিয়োজিত। মানুষ বেশি বেশি মুড়ি কিনতে আসলেই আমাদের ভালো লাগে। তবে পূজা-পার্বন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুড়ি তুলনামূলক বেশি বিক্রি হয়ে থাকে।

জানা যায়, কৃষি নির্ভর এলাকা হওয়ায় এখানকার লোকজন ধান চাষ, ধান সেদ্ধ, শুকানো, মাড়াইয়ের কাজে সম্পৃক্ত হওয়া থেকেই তারা মুড়ি ভাজা পেশাটিকে কোনো রকমে টিকিয়ে রেখেছেন। এখানের প্রায় সব বাড়িতেই মুড়ি ভাজার প্রচলন রয়েছে।

এবিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, হাতে ভাজা মুড়ি মেশিনে তৈরিকৃত মুড়ির চেয়ে বেশ সুস্বাদু। সর্দার বাড়িতে যারা মুড়ি ভাজা পেশায় রয়েছেন, তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবো।

/মাহি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়