ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

চাঁদপুরে বাড়ছে কলা চাষ

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ৫ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৯:১৯, ৫ জুলাই ২০২২
চাঁদপুরে বাড়ছে কলা চাষ

চাঁদপুরে কলা চাষ বেড়েছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে এখন বাগান পর্যায়েও কলা চাষ হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন আমদানি নির্ভরতা ঘুচিয়ে নিজস্ব উৎপাদনেই জেলায় কলার চাহিদা মিটবে। 

চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলায় কলা চাষ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৬২৫ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে সেখানে জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হেক্টর। এসব জমিতে চলতি বছর ৯শ' ১০ মেট্রিক টন বিভিন্ন জাতের কলা উৎপাদন হবে। 
বাবুরহাটের কলার আড়তদার মালেক খান বলেন, আমরা সবরি, বাংলা, চাঁপা, সাগরসহ সব রকমের কলা বিক্রি করি। এসব কলা যশোর, রংপুর, খাগড়াছড়ি এলাকা থেকে টাকা ট্রাক ভাড়া দিয়ে আমদানি করতে হয়। ফলে খরচ বেশি হয়। জেলায় কলার চাষ বাড়ছে। ফলে আশা করছি সামনে আর আমাদের কলা এতো বেশি আমদানি করতে হবে না। তখন দামও কম হবে। 

আরেক কলার আড়তদার মো. শফিক মাল বলেন, ১শ' থেকে ২শ' কলার ছড়া আমদানি শেষে আড়তে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। যার প্রতিটি কলার ছড়া হালি অনুযায়ী ১শ' থেকে ৪শ' টাকা করে বিক্রি করতে হয়। যদি স্থানীয় পর্যায় থেকে কলা কিনে বিক্রি করা সম্ভব হতো তাহলে কলার দাম আরো কম রাখা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মুরাদুল হাসান বলেন, জেলায় খামারি পর্যায়ে কলা চাষে মানুষের আগ্রহ বাড়ায় আমরা তাদের কলার রোগ নির্ণয় ও প্রতিকারে পরামর্শ দিচ্ছি। কলা চাষের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানকার উৎপাদিত কলাতেই জেলার চাহিদা মিটবে। 

তবে কলা আমদানি করা হলেও তা যাতে কেমিক্যালমুক্ত রাখা হয় এবং দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকে সে বিষয়ে বাজার তদারকি চলমান জানিয়ে চাঁদপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান রুপম বলেন, এমন কিছু আমাদের দৃষ্টিগোচর হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া জেলায় যারা লাইসেন্স ছাড়া ফল ব্যবসা করছেন তাদেরও কৃষি বিপণন আইনে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

 

অমরেশ/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়