ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অর্ধশতাধিক পরিবার এখন স্বাবলম্বী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৩১ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১১:৩৫, ৩১ আগস্ট ২০২২
অর্ধশতাধিক পরিবার এখন স্বাবলম্বী

নিজ উদ্যোগে অনেকের বাড়ি ঘর ঠিক করে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম

একটা সময় ছিল যখন নুন আনতে পান্তা ফোরানোর অবস্থা ছিল জাহানারা বেগমের। দিনমজুর স্বামী মারা যাওয়ার পর পরিবারের অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একমাত্র ছেলেকে গ্রিল ওয়ার্কশপে কাজে লাগান। কিন্তু তাতেও পরিবারে ফিরছিল না স্বচ্ছলতা। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের দেওয়া অর্থে ছেলেকে বিদেশে পাঠান জাহানারা। এখন ছেলের পাঠানো টাকায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পরিবারটি। 

শুধু জাহানারা নয় তার মতো অর্ধশতাধিক পরিবার এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের দেওয়া ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায়।

এদিকে নিজের ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন নজরুল ইসলাম। ইতোমধ্যে তার কর্মদক্ষতার ফলে এ ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুলসহ নানামুখী উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

বেকারত্বে দিশেহারা হয়ে উঠা মো. ইউছুফ বলেন, ‘ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে দারোয়ানের চাকরি করতাম। কিন্তু করোনার সময় চাকরি চলে যায়। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পরি। নজরুল চেয়ারম্যান একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উপহার দেন আমাকে। এখন অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক ভালো আছি।’ 

স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন, আমির হোসেন, আবুল কালামসহ অন্তত ১৫ জনকে রিকশা কিনে দিয়েছেন নজরুল ইসলাম বলে জানা গেছে। 

শুধু কর্মহীনদের কাজের ব্যবস্থা করাই না গৃহগীনদের বাড়ি সংস্কারও করে দিয়েছেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। গৃহহীন বেলাল হোসেন ও ফেরি করে পণ্য বিক্রি করা পারভেজ বলেন, অর্থের অভাবে বসত বাড়ি সংস্কার করাতে পারছিলেন না তারা। নজরুল ইসলাম জানতে পেরে  নিজ অর্থে নতুন চৌচালা টিনের ঘর করে দেন। সারাদিন পরিশ্রম শেষে এখন আর ভাঙা ঘরে থাকতে হয় না। 

মো. নজরুল ইসলাম বলেন,  ‘বর্তমান সরকারের ডিজিটাল উন্নয়নের ছোঁয়া এ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে দিতে পরিষদ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ প্রতিটি স্থানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাতে কাজ করে যাচ্ছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সহায়তার পাশাপাশি গৃহহীন, বেকার, অস্বচ্ছল পরিবারের পাশে ব্যক্তিগত অর্থ নিয়ে দাঁড়াচ্ছি। আগামীতে বেকারত্ব দূরীকরণে ইউনিয়নে কারখানা করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’ 

জাহাঙ্গীর লিটন/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়