ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শিশু করোনায় আক্রান্ত হলে বাসায় চিকিৎসা করবেন যেভাবে

এস এম ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৯, ১৬ মে ২০২১   আপডেট: ১৬:২০, ১৬ মে ২০২১
শিশু করোনায় আক্রান্ত হলে বাসায় চিকিৎসা করবেন যেভাবে

কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এসময় অনেক শিশুও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই শিশুরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে হোম আইসোলেশনে কীভাবে চিকিৎসা করবেন তা ভেবে পিতামাতারা উদ্বিগ্ন।

কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশুই হয়তো উপসর্গবিহীন, নয়তো মৃদু উপসর্গ রয়েছে। সাধারণত পরিবারের কোনো সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরাও কোভিড টেস্ট করে থাকেন- এসময় শিশুদের উপসর্গবিহীন কেস শনাক্ত হয়।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, শিশুদের উপসর্গ প্রকাশ পাচ্ছে কিনা খেয়াল করতে হবে এবং উপসর্গের তীব্রতার মাত্রার ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে হবে। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শিশুদের মৃদু কেসের ক্ষেত্রে গলা ব্যথা, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট ছাড়াই কাশি হতে পারে। কেউ কেউ পেটের সমস্যায়ও ভুগতে পারে, যেমন- ডায়রিয়া, বমি ও পেট ব্যথা। মৃদু সংক্রমণ যেকোনো সময় তীব্র সংক্রমণে রূপ নিতে পারে। তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে মনে হলে সতর্কতার প্রয়োজন আছে। তবে ডায়রিয়ার মতো পেটের সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে না।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড পজিটিভ শিশুদের সংক্রমণের তীব্রতার মাত্রা শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দিকনির্দেশনা দিয়েছে। হোম আইসোলেশনের ক্ষেত্রে তাদের দিকনির্দেশনায় বলা হয়েছে-

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শিশুর উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াবেন না, যেমন- বিস্কুট, কেক ও চিপস। পর্যাপ্ত পানি পান করান। মৃদু সংক্রমণের ক্ষেত্রে উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করতে হবে।

* জ্বর আসলে প্যারাসিটামল সেবন করাতে হবে। ৪-৬ ঘণ্টা পরপর রিপিট করতে পারেন।

* গলা ব্যথা ও কাশি থাকলে গলাকে প্রশান্তি দিতে পারে এমনকিছু করতে হবে, যেমন- লবণপানির গড়গড়া। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দুই/তিন চা-চামচ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করাতে পারেন।

* ডায়রিয়া হলে স্যালাইন পানি পান করান। ডাবের পানিও পান করাতে পারেন।

* চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করাবেন না।

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে শিশুদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখা উচিত। প্রতিদিন ২-৩ বার শ্বাসপ্রশ্বাসের হার দেখুন।অক্সিজেন স্যাচুরেশন ও প্রস্রাবের পরিমাণও দেখতে হবে। এসবকিছুর অস্বাভাবিকতা চিকিৎসককে জানাতে হবে। শিশুর কাজকর্মে দুর্বলতা প্রকাশ পেলে, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেলে, শরীরের কোথাও নীল হলে এবং বুক ভেতরে ঢুকে গেলে একটুও অবহেলা করা যাবে না। ঠোঁট নীল হওয়া ও বুক ভেতরে দেবে যাওয়ার মতো মারাত্মক উপসর্গ দেখামাত্র শিশুকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে জরুরি চিকিৎসা দিতে হবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়