ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চাটমোহরে সড়ক খানাখন্দে ভরা, জনদুর্ভোগ চরমে

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  
চাটমোহরে সড়ক খানাখন্দে ভরা, জনদুর্ভোগ চরমে

পাবনার চাটমোহর উপজেলার অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা সড়কে চলতে পথচারীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ দু’-একটি সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হলেও তা দীর্ঘ দিন বন্ধ রয়েছে।   

সড়ক ও জনপথ দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন চাটমোহর-পাশরুডাঙ্গা-ধানুয়াঘাটা জনগুরুত্বপূর্ণ  সড়কটির সংস্কার কাজ প্রায় দুই বছর আগে শুরু হলেও তা বন্ধ রয়েছে। এই সড়কে যানবাহন চলতে পারছে না। বিকল্প সড়কে চলতে হচ্ছে। 

চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে পার্শ্বডাঙ্গা ও ফৈলজানা ইউনিয়নসহ ফরিদপুরের ধানুয়াঘাটায় চলাচলের এই সড়কটি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত। চাটমোহর থেকে গুনাইগাছা হয়ে আড়িংগাইল ঘুরে বনগ্রাম বাজার দিয়ে পার্শ্বডাঙ্গা ও শরৎগঞ্জে যানবাহন চলাচল করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বৃষ্টির কারণে ঠিকাদার কাজ করতে পারছেন না।

চাটমোহর থেকে ভাঙ্গুড়ার দিয়ারপাড়া হয়ে পার্শ্বডাঙ্গা ও ধানুয়াঘাটায় চলছে সব রকমের যানবাহন। চাটমোহর-পার্শ্বডাঙ্গা সরাসরি যানবাহন চলছে না। সড়কটির উন্নয়নের নামে ব্যাপক খোঁড়াখুড়ি করার পর তা ফেলে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালী ঠিকাদার ইচ্ছেমতো কিছু কাজ করে ফেলে রেখেছেন। ফলে এই সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী অসংখ্য যানবাহন ও মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। 

চাটমোহর-হান্ডিয়াল মান্নাননগর সড়কটি এখন খানাখন্দে ভরা। এই সড়ক দিয়ে চাটমোহর থেকে রাজধানী ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় যানবাহন চলাচল করে। 

বেহাল দশা হান্ডিয়াল-বাঘলবাড়ি-নওগাঁ সড়কেরও। সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাটবারে এই সড়ক দিয়ে পশু পরিবহণের বহু গাড়ি চলাচল করে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পাশের পুকুর বা খালে চলে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। 

চাটমোহর-হরিপুর সড়কের সংস্কার কাজ নির্মাণ কাজ শুরু হলেও তা শেষ না করায় সড়কটিতে কার্যত চলাচল বন্ধ রয়েছে। চাটমোহর-ছাইকোলা সড়ক, চাটমোহর-বামনগ্রাম-কামালপুর সড়ক, চাটমোহর থেকে আটলংকা হয়ে খতবাড়ি সড়কসহ উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। 

চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি ভাঙা সড়ক পরিদর্শন করেছি, সেগুলোর অবস্থা খুবই বাজে। মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। 

চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাজু আহমেদ বললেন, ‘এলজিইডির সড়কগুলো উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। পর্যায়ক্রমে গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হবে। উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রয়েছে।’ 

যেগুলোর কাজ বন্ধ রয়েছে, তা মূলত বর্ষার কারণে। আবহাওয়ার উন্নয়ন হলেই কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।  

শাহীন/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়