ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৬ অক্টোবর ২০২০  
রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। নগরীর সাতমাথা থেকে কাউনিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা।  এই সড়কে চলাচল করা পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন হেলে-দুলে চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত সড়কে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সড়কের বেহাল দশায় দুর্ঘটনার আতঙ্কে গাড়িচালক ও পথচারীরা।

জানা যায়, রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পার্কের মোড় থেকে কাউনিয়া বাজার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক ২০০৮ সালে সর্বশেষ কার্পেটিং করা হয়। এরপর ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে খানাখন্দ সংস্কার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে জোড়াতালি দিয়ে সড়কটিকে সচল রেখেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।  প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙা স্থানগুলোতে পানি জমে চলাচলে অযোগ্য পড়ায় খানাখন্দে ভরে যায়। এতে করে প্রায়ই সময় যানবাহনগুলোর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের উৎপাদিত খাদ্যশস্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে না পেরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর নগরীর সাতমাথা, কলাবাড়ি, মীরবাগ, জুম্মারপাড়, কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তার পাথর উঠে গেছে। বৃষ্টির পানিতে গর্ত হওয়া স্থানগুলোতে পানি জমে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাক, বাসসহ যানবাহনগুলো চলাচল করছে। দিনের বেলায় কষ্ট করে এই সড়ক দিয়ে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও রাতের বেলা যানবাহন চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

জুম্মারপাড় এলাকার শিক্ষক আসাদুজ্জামান (২৮) বলেন, সাতমাথা থেকে কাউনিয়া বাজার পর্যন্ত পুরো সড়কটি খানাখন্দে ভরা। সাতমাথা কিংবা কাউনিয়া যেতে যে সময় লাগতো, রাস্তা ভাঙ্গার কারণে ধীর গতিতে যাতায়াত করায় তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে।

অটোরিকশা চালক সাজু আহমেদ বলেন, ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার সঙ্গে এই সড়কটি দিয়ে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলার যোগাযোগ। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।  বছরে বছরে দেখি সড়কটি পিচ-পাথর দিয়ে নাম মাত্র মেরামত করা হয়। 

রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের কলাবাড়ি এলাকায় ট্রাক নিয়ে আটকে থাকা চালক রফিকুর রহমান বলেন, ট্রাক ভর্তি সবজি লালমনিরহাট থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। কাউনিয়া রাস্তায় খানাখন্দের কারণে ট্রাকের বেল্ট ছিড়ে গেছে। সময় মতো সবজি ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে অনেক টাকা লোকসান হয়ে যাবে। আমার মতো অনেক ট্রাকচালক এই দুর্ভোগে পড়েছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শফিকুজ্জামান বলেন, রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করায় বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দফায় দফায় সংস্কার করা হয়েছে। 

নজরুল মৃধা/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়