ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সমতলে চা চাষ, সাফল্য পেয়েছেন প্রান্তিক চাষিরা

মো. আবু নাঈম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ১৫ জুলাই ২০২১  
সমতলে চা চাষ, সাফল্য পেয়েছেন প্রান্তিক চাষিরা

চা চাষের জন্য পাহাড়ি ঢালু জমি প্রয়োজন, এমন বিশ্বাসকে বদলে দিয়ে পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতে চা চাষে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন চাষিরা। প্রতি বছরই বাড়ছে এখানে চা বাগানের পরিধি। একসময়ের পতিত গোচারণ ভূমি এখন সবুজ চায়ের পাতায় ভরে গেছে। 

ইতোমধ্যে দেশের দ্বিতীয় চা অঞ্চল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে পঞ্চগড়। এখানে চা চাষকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। গড়ে উঠেছে ১৮টি চা প্রক্রিয়াজাত কারখানা। নগদ মূল্যে কারখানা মালিকরা চা পাতা সংগ্রহ করায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা। চায়ের মান উন্নত হওয়ায় পঞ্চগড়ের চা জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। 

স্থানীয় চা বোর্ড জানায়, ১৯৯৬ সালে এ জেলায় চা চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চা বাগানের পরিমাণ ১০ হাজার ১২১ একর। গত বছর এসব বাগান থেকে ১ কোটি ৩ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি কেজি হলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন চা সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় এখানে অনেক জমি গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহার হতো। কিছু জমিতে আখ চাষ হলেও বাকিসব আবাদ অনুপযোগী হওয়ায় বছরজুড়েই পড়ে থাকতো। সময়ের পরিক্রমায় সেই জমিগুলোই এখন প্রান্তিক চাষিদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ তৈরি করেছে। 

ক্ষুদ্র চা চাষিরা জানান, একবার চায়ের বাগান করে ৮০ থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত চা পাতা বিক্রি সম্ভব, এজন্য অন্য আবাদ ছেড়ে চা চাষে ঝুঁকছেন তারা। তবে তাদের অভিযোগ, পঞ্চগড়ে চায়ের অকশন বাজার না থাকায় অনেক সময় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এজন্য চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজারের পাশাপাশি পঞ্চগড়েও অকশন বাজার করার দাবি জানিয়েছেন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার গ্রিণ কেয়ার চা কারখানার ব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ মূল্যে চা পাতা ক্রয় করছি। এখানে তৃতীয় কোনো পক্ষ না থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। অকশন বাজার চালু হলে আরও বেশি লাভবান হবেন।

চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, চা বাগান মালিক ও ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য চা বোর্ড প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ লজিস্টিক সাপোর্ট মাঠ পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে পঞ্চগড়ে চায়ের পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

পঞ্চগড়/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়