ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নীলফামারীতে সয়াবিন তেলের দামে অস্থিরতা

নীলফামারী প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ২০ এপ্রিল ২০২২  
নীলফামারীতে সয়াবিন তেলের দামে অস্থিরতা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় সয়াবিন তেলের বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিপ্রতি ৩৫ হতে ৪০ টাকা বেশি দামে খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে। গায়ে মূল্য লেখা থাকায় বোতলজাত তেল কম বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তারা বলছেন, বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

রমজান মাসের শুরুতে সয়াবিন তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি হয়। এরপর সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় অস্থিরতা কমে এবং সরকার নির্ধারিত দামে কয়েকদিন তেল বিক্রি হয়।

মাসুদ রানা নামে এক ক্রেতা জানান, খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা কেজিদরে কিনেছেন তিনি। 

আরেক ক্রেতা যতীন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বোতলের গায়ে দাম লেখা থাকায় বোতলজাত তেল বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বড় বড় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত তেল মজুদ করে রেখেছেন। কোম্পানিগুলোও তাদের বাইরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সরাসরি তেল দেয় না। তাই মজুদদারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে কিনে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মজুদদারদের গোডাউনে অভিযান চালালে এর সুরাহা হবে বলে মনে করেন তিনি।

মুদি দোকানদার তরিকুল ইসলাম জানান, কম দামে তেল কিনতে পারছেন না বলে গত এক সপ্তাহ থেকে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

পাইকারি ব্যবসায়ী আমিন স্টোরের মালিক নুর আলম বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে তেল কিনতে হচ্ছে। তাই কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছি। বেশি দামে না কিনলে তো তেলই পাবো না। তখন ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবো কীভাবে? আর ক্রেতারা তেলে পাবে কীভাবে? তাই জেনেশুনে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে তেল কিনে বিক্রি করছি।’

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম হতে অতিরিক্ত দামে তেল কিনতে হচ্ছে। বেশি দামে তেল কেনার রশিদও দিচ্ছেন না তারা। ক্রয় রশিদ চাইলে তাদের কাছে তেল বিক্রি করছেন না আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। 

তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেল নিয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছি। ক্রেতারা চাইছেন সরকার নির্ধারিত মূল্যে কিনতে। আর আমাদের কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। গত এক সপ্তাহে সয়াবিন তেল বিক্রি করে আমার প্রায় চার লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’  

নীলফামারী জেলা বাজার কর্মকর্তা এ টি এম এরশাদ আলম খান জানান, বর্তমানে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সয়াবিন তেল কেন বিক্রি করছেন— ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম হতে তাদের ১৮৫ টাকা কেজিদরে খোলা তেল কিনতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে তদারকি করছে। তিনি আশা করেন, দ্রুত এর সমাধান হবে।
 

সিথুন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়