ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অর্থের যোগানদাতা নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গিরাই

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২২ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অর্থের যোগানদাতা নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গিরাই

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ভয়ংকর হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই। জঙ্গিরা সেদিন যেন রক্তের হলি খেলায় মেতে উঠেছিল। সে দিনের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য, ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হন ২২ জন। ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় এরকম একটি হামলা হবে তা কেউ কল্পনাও করেনি।

সে দিনের সেই ভয়ংকর হামলার চিত্র ফুটে ওঠে পুলিশের দেয়া চার্জশিটে। ওই চার্জশিটের আলোকে ঘটনার বিশদ রাইজিংবিডি পাঠকদের জন্য তুলে ধরছেন নিজস্ব প্রতিবেদক মামুন খান। ধারাবাহিক বর্ণনার আজ পঞ্চম পর্ব।

যেকোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সর্বপ্রথম প্রয়োজন অর্থের। হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হয়নি। সরাসরি অংশ নেয়া জঙ্গিদের বিভিন্ন খরচ নিয়ে ভাবতে হয়নি। তার যোগান দিয়েছে নেপথ্যে থাকা নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গিরা। যারা সরাসরি হামলায় অংশ নেয়নি। আড়ালে থেকেই নেড়েছেন কলকাঠি। দেখেছেন শিষ্যদের হত্যাযজ্ঞ।

নব্য জেএমবি সংগঠনের বায়াত গ্রহণকারী সদস্যরা তাদের নিজস্ব সম্পদ ও অর্থ সংগঠনের কাজে ব্যয় করায় ব্রতি হয়। যার ফলশ্রুতিতে নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা তানভীর কাদেরী তার নিজের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল জনৈক মো. মতিউর রহমানের কাছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, ওই টাকা হলি আর্টিজান বেকারি হামলার কাজে খরচ করেছিল। আরেক সদস্য আসলাম হোসেন র‌্যাশ ৪০/৫০ হাজার টাকা তামিম আহমেদ চৌধুরী ও শরিফুল ইসলাম খালেদের মাধ্যমে সংগঠনে জমা দেয়। সরোয়ার জাহান ও তামিম চৌধুরীর কাছে হুন্ডির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের কাজের জন্য অর্থ এসেছে ।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কাজ চালানোর জন্য ১৮ লাখ টাকা ভারত থেকে হুন্ডির মাধ্যমে তামিমের বরাত দিয়ে সরোয়ার জাহানের কাছে আসে। ২০১৬ সালের ২৮ জুন বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের সামনে বাশারুজ্জামান চকলেট ও তানভীর কাদেরী ওই টাকা গ্রহণ করে। এ সময় বাশারুজ্জামান চকলেটের কোড ছিল ‘সাদা পাখি উড়ে যায়’।

বাশারুজ্জামান চকলেট একটি নতুন সীম ও মোবাইলে যোগাযোগ করে টাকা উত্তোলন করে। এছাড়া বিভিন্ন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনের সদস্যরা নিজ নিজ দায়িত্বাধীন এলাকা থেকে চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করে সংগঠনের ব্যয় নির্বাহ করার জন্য তহবিলে জমা করে। সংগঠনের তহবিলে জমাকৃত টাকা থেকে সদস্যদের বাসা ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহ হত। অবশিষ্ট টাকা বিভিন্ন অপারেশনের কাজে ব্যয় করত।

 

ঢাকা/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়