ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাড়তি ফি বন্ধে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ২৮ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাড়তি ফি বন্ধে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু

বেসরকারি বিদ্যালয়ে ক্লাসে পুনঃভর্তি ফি আদায় বন্ধ করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই বিদ্যালয়ে ক্লাস উন্নীত হলে আর বাড়তি ফি প্রদান করতে হবে না।

এর সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি সহনীয় করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করতে টিউশন ফি নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। একেক প্রতিষ্ঠানে একেক ধরনের ফি আদায় করা হচ্ছে, যা পরিশোধ করতে অভিভাবকদের নাভিশ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বিধান না থাকায় সরকারিভাবে বারবার সতর্ক কারার পরও তা বন্ধ হচ্ছে না। এ কারণে টিউশন ফি নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, নীতিমালা প্রণয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) মোমিনুর রশিদ আমিনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (অডিট ও আইন) আহমদ শামীম আল রাজী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আনোয়ারুল হক।

মঙ্গলবার টিউশন নীতিমালা সংক্রান্ত একটি সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী রোববার নির্ধারণ করা হয়েছে।

কমিটির প্রধান অতিরিক্ত মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ অনেক জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত  টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে। তার সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থী উন্নীত হলে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে পরবর্তী ক্লাস ভর্তি করানো হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে একটি শৃঙ্খলায় আনতে টিউশন ফি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সকল ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এর অতিরিক্ত আদায় করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সংক্রান্ত কাজের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির এক সদস্য জানান, সকল মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ফি ও বেতন একটি সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে। কেউ ইচ্ছেমতো বা লুকানো অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছে আদায় করতে পারবে না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া প্রতি বছর তা বৃদ্ধি করতে পারবে না।

তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমলা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী রোববার কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে একটি খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, শুধু বাংলা মাধ্যম ও বাংলা মিডিয়ামে নয়, এর সঙ্গে ইংরেজি মাধ্যম ও ভার্সন ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল-কলেজে বেতন-টিউশন ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর টিউশন ফি, কারিকুলাম, বেতনসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

একটি অভিন্ন নীতিমালার মাধ্যমে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি-টিউশন ফি ও অন্যান্য ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে।


ঢাকা/ইয়ামিন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়