লকডাউন নয় তবুও শঙ্কা
ঢাকাসহ সারা দেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে মানুষ। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে হয়রানির শঙ্কা করছেন। তবে পুলিশের দায়িত্বশীলরা বলছেন, পেশাদার আচরণের কথা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামাজিক দূরত্ব রাখার নিয়মকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাজধানীবাসী। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, জরুরি প্রয়োজনে বের হলে হয়রানি হতে হয়। রাস্তায় বের হলেই নানা শঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়ক ফাঁকা। নেই কোনও গণপরিবহন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, র্যাবের টহল চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে যে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেন। কিন্তু অপ্রয়োজনে যদি কেউ বের হয়, তবে তাদের বুঝিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে মিন্টো রোডের বাসায় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ তো লকডাউন করা হয়নি। সুতরাং রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা না করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যে কেউ প্রয়োজনে যেতেই পারেন। গেলেই তার হয়রানির সম্মুখিন হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।
রোববার পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। যদি কোনও পুলিশ সদস্য সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বা হয়রানির চেষ্টা করে তবে পুলিশের হটলাইনে ফোন দিন। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশই নয়, সারা বিশ্ব করোনায় বিপর্যস্ত। আমাদের দেশে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেভাবে পুলিশকেও কাজ করতে হবে। যারা প্রয়োজনে বের হচ্ছে তাদের শুধু নিরাপত্তাই নয়, সম্ভব হলে স্থাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্যও সহায়তা করতে হবে। কোনওভাবেই হয়রানি করা যাবে না।’
মাকসুদ/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন