ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রোস্টার সিস্টেম ও ডিজিটাল সেবায় সিটি ব্যাংক

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ১৩ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
রোস্টার সিস্টেম ও ডিজিটাল সেবায় সিটি ব্যাংক

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রোস্টার সিস্টেম ও ডিজিটাল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে সেবা নিয়ে গ্রাহকের পাশে আছে সিটি ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির ১৩২টি শাখার মধ্যে মধ্যে রোস্টার সিস্টেমে শতাধিক শাখা ও ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করেছে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  এছাড়া, করোনোর মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিকাশের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও জোরদার করা হয়েছে।

বর্তমানে সিটি ব্যাংকের ১০ লাখের অধিক এটিএম কার্ডধারী গ্রাহক আছেন। করোনা পরিস্থিতিতে তাদের জন্য কেনাকাটায় বিশেষ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে সাধারণ ছুটিতে কর্মকর্তাদের প্রণোদনা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছে ব্যাংকটি। লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতায়াতের সুবিধায় কর্মীদের জন্য বাহন সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগে ব্যবস্থাপনার বিশেষ দায়িত্বে থাকা সিটি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. মাহাবুবুর রহমান এ বিষয়ে রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সিটি ব্যাংক এ মুহূর্তে রোস্টার সিস্টেমে কার্যক্রম চালাচ্ছে।  লকডাউন এলাকার মধ্যে কম ঝুঁকিপূর্ণ ও কমার্শিয়াল এলাকায় শাখাগুলো খোলা রাখা হচ্ছে।  আমরা মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুসরণ করে আমাদের কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ইএমআই পেমেন্ট নেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। তাতে গ্রাহকদের ক্রেডিট স্কোর কমছে না।  যেকোনো ধরনের বিলের ক্ষেত্রে জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে।  আমরা গ্রাহক সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সীমিত লোকবল নিয়ে গ্রাহকদের সেবা দিতে গিয়ে কর্মকর্তাদের অনেক সময় ভোর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।  এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন।  এছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো কয়েকজন অসুস্থ রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।  তবু আমরা পিছপা হইনি। সরকার ঘোষিত স্টিমুলাস প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।  এর কারণে ব্যাংকের খরচ বেড়েছে, তবু আমরা করে যাচ্ছি।’

ব্যাংকটির এক সূত্র জানায়, তহবিল স্থানান্তর ও অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করা হয়েছে।  ফলে ব্রাঞ্চে না গিয়েও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও কল সেন্টারের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা নিতে সক্ষম হচ্ছেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা।  করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গ্রাহক কিংবা কর্মী উভয়েরই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ফেস মাস্ক পরা এবং শাখার প্রবেশদ্বারে ফুট-ট্রে ও হ্যান্ডওয়াশ স্টেশন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অফিসের ভিতরে অবস্থানকারী কর্মীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা গ্রহণে সকল শাখায় গ্রাহকদের নির্ধারিত আসন এবং দাঁড়ানোর স্থানও চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটি তার রিটেইল ও এসএমই গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধ তিন মাসের জন্য স্থগিত ও ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের জন্য তিন মাসের জন্য বিলম্ব ফি মওকুফ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ইতোমধ্যেই ব্র্যাক ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ করেছে।

করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া বিপন্ন ও অসহায় পরিবারগুলোর কাছে খাদ্য সাহায্যও পৌঁছে দিচ্ছে সিটি ব্যাংক। সারা দেশে আটটি সেন্টারের মাধ্যমে ২০ হাজার দুস্থ পরিবারের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে ১০ কেজি চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। এছাড়া ‘উত্তরণ’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ১৩ জেলার ৩ হাজার পরিবারকে সিটি ব্যাংকের সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার ৫০০ কর্মহীন পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছে ব্যাংকটি।

সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার এ বিষয়ে বলেন, ‘সিটি ব্যাংক সব সময় দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক কিংবা মানবিক বিপর্যয়কালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে।’

 

ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়