ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বকেয়া পাওনা: দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায় খুঁজছে বিটিআরসি-গ্রামীণফোন

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ১২ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বকেয়া পাওনা: দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায় খুঁজছে বিটিআরসি-গ্রামীণফোন

বকেয়া পাওনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও গ্রামীণফোন (জিপি)-এর মধ‌্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনে উভয়পক্ষই কৌশল খুঁজছে।  উভয়পক্ষই বলছে, আলোচনার মাধ‌্যমে এই সমস‌্যার সমাধান করা হবে।  বিটিআরসি ও জিপি-সূত্রে এমন তথ‌্য পাওয়া গেছে।

বিটিআরসির দাবি, জিপির কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।  এই পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিতে এনওসি দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।  যদিও জিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, টাকার অঙ্ক নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে।

২০১৯ সালের ২৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জিপি দাবি করে, যেসব কারণ দেখিয়ে বিটিআরসি এই অর্থ দাবি করছে, তা অযৌক্তিক।  অনাপত্তিপত্র স্থগিত রাখাকে তারা 'জোর করে অর্থ আদায়ের কৌশল' বলেও দাবি করে।

এদিকে, বিটিআরসি বলছে, এই টাকা জনগণের টাকা, যেটা কমিশন শুধু আদায় করে দিচ্ছে।  তাই এই টাকা দিতে হবে।

এরপর গত বছরের ২৩ জুলাই জিপিকে অনাপত্তি দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় বিটিআরসি।  এর আগে বকেয়া পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা চেয়ে গত বছরের ২ এপ্রিল জিপিকে চিঠি দেয় বিটিআরসি।  ওই চিঠির বিরুদ্ধে আদালতে যায় জিপি।  এরপর ওই বছরের ২৮ আগস্ট আদালত মামলা খারিজ করে দেন।  খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় জিপি।  শুনানি শেষে বিটিআরসির চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে দেন হাইকোর্ট।  এরই বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বিটিআরসি।  শুনানির পর ২৪ নভেম্বর জিপিকে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন আপলি বিভাগ।  এরপর জিপি ওই টাকা পরিশোধ করে।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জিপির হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন মুহাম্মদ হাসান বলেন, ‘উভয়পক্ষ বসবো। একটা সমাধানে পৌঁছাবো।  এজন্য আমাদের সহযোগিতা করছে অর্থবিভাগ।  তারা হিসাব করে আমাদের জানাবে। আমরা তাদের হিসাবকে  সমাধানের উপায় ধরে নিয়েই কাজ করবো।’

জানতে চাইলে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খান বলেন, ‘অডিট আপত্তির ফলে জিপির কাছে বিটিআরসির পাওনা ছিল ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আপিল বিভাগের নির্দেশে তারা নির্ধারিত ৩ মাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। জিপি  কমিশন থেকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) ঘোষণা করার পর অপারেটরটির জন্য কিছু নিয়ম আরোপ করা হয়।  তারা এসব মেনে চলছে।  আশি করি, অডিট আপত্তির বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’

সামগ্রিক বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘রাষ্ট্রের পাওনা ও আদালতের নির্দেশ মান্য করা দেশের প্রত‌্যেক  ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য অবশ্য পালনীয়।  জিপি এরই মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ’ বিষয়টিক ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

 

 

ঢাকা/হাসান/এনই

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়