ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এটিএম বুথ: নেই স্বাস্থ্য উপকরণ, নির্বিকার নিরাপত্তা প্রহরীরা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ৪ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
এটিএম বুথ: নেই স্বাস্থ্য উপকরণ, নির্বিকার নিরাপত্তা প্রহরীরা

ছবি- শাহীন ভূঁইয়া

করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জীবাণুনাশক মিলছে না এটিএম বুথগুলোতে।  সাধারণ ছুটি ও ঈদের পর থেকে অনেকটা ঢিলেঢালা চিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন বুথে।  এছাড়া বুথের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাজধানীর মিরপুর, মালিবাগ ও রামপুরাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এটিএম বুথগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।  তবে কিছু কিছু বুথে জীবাণুনাশক মিললেও নিরাপত্তা প্রহরীদের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নিরাপত্তা প্রহরী জানান, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমদিকে জীবাণুনাশক ঠিকমতো পেয়েছেন।  তবে এখন সময়মতো জীবাণুনাশক পাচ্ছেন না তিনি।

চার হাজার ৭৬৩টি বুথের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি এটিএম বুথের সেবা দেওয়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল ডিভিশনের (এডিসি বিভাগ) প্রধান মো. মশিউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে আমাদের বুথগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে জীবাণুনাশক সরবরাহ করা হয়েছে। নিয়মিত আমরা মনিটরিং করছি।’

তিনি বলেন, ‘কোনও বুথে জীবাণুনাশক শেষ হয়ে গেলে আমাদের জানালে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি।  শেষ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট বুথের দায়িত্বপ্রাপ্তরা আমাদের শাখা থেকে নিতে পারেন।  এক্ষেত্রে গাফলতি থাকলে ব্যবস্থা নেব।’ 

ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক আল মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘মিরপুর মাজার রোডের এটিএম বুথে গিয়ে জীবাণুনাশক পাইনি।  নিরাপত্তারক্ষীর কাছে চাইলে বলে ১ জুন থেকে কর্মরত আছেন।  তিনি কোনও জীবাণুনাশক পাননি।’

একই ধরনের অভিযোগ করেন ঢাকার মুগদার বাসিন্দা শফিকুর রহমান। তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও  ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক।  তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অধিকাংশ বুথে জীবাণুনাশক পাওয়া যায় না।  প্রথমদিকে ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে যত্নশীল থাকলেও এখন অনেক উদাসীন বলতে পারেন।  অনেক এটিএম বুথে গ্লাভস ও মাস্ক ছাড়াই দায়িত্ব পালন করছেন নিরাপত্তা প্রহরী। ফলে বুথ থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া ঝুঁকি আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’

ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া বলেন, ‘সাধারণভাবে আমাদের প্রতিটি বুথে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। ব্যতিক্রম কোথাও থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’  

বর্তমানে দেশে ব্যাংকগুলোর প্রায় ১১ হাজার এটিএম বুথ রয়েছে।  আর সিডিএম ও সিআরএম আছে আরও প্রায় এক হাজার ৬৬৬টি। এছাড়া কেনাকাটার বিল পরিশোধের জন্য দেশে ৬০ হাজার ৪৭৪টি পয়েন্ট অব সেলস (পস) মেশিন রয়েছে।



এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়