ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাজেট বাস্তবায়নে নতুন নতুন উৎস থেকে অর্থের সন্ধানে সরকার

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১৬ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বাজেট বাস্তবায়নে নতুন নতুন উৎস থেকে অর্থের সন্ধানে সরকার

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটাই থমকে গেছে। কিন্তু সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের অর্থনিতির চাকা সচল রাখতে। আর তাই ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে নতুন নতুন উৎস থেকে অর্থের সন্ধানে সরকার।

ইতোমধ্যে সরকার দেশের অর্থনীতিকে দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ঘোষিত ১ দশমিক শূন্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলার উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সরকার আশা করছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, বাজেট বাস্তবায়ন করতে নতুন নতুন অর্থের খোঁজে সরকার। সরকারের বাজেট, বিনিময় ভারসাম্য সহায়তা (বিওপি) সহায়তার অনুরোধ বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (জাইকা) বৃহৎ উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার সাড়া মিলেছে।

এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবঝরে বাজেট সহায়তা হিসেবে এডিবি ইতোমধেই ৫০ কোটি ডলার ছাড় করেছে। বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবি উভয় থেকে ২৫ কোটি ডলার অর্থ ছাড়করণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৭৩ দশমিক ২ কোটি ডলার বিওপি সহায়তা দিয়েছে।

ব্যাংকিং খাত হতে অর্থায়ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বর্ধিত ঋণের পর সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীণ অর্থায়নই মধ্য-মেয়াদে ঘাটতি অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে থাকবে। মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে  ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নতুন এডিপি’র আকার  ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা খরচ করা হবে।

বাজেটে এডিপি খাতে বেড়েই চলেছে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা।  এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ছিল ৬২ হাচার ১ কোটি টাকা। অথচ ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে বৈদেশিক ঋণের আকার ছিল ৪৩ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। ফলে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এব বাড়তি চাহিদা মেটাতেই মূলত বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে এডিপিতে বা বাজেট বাস্তবায়নে।

ইআরডির বিশ্বব্যাংক উইং প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশকে ঋণ দিতে বিশ্বব্যাংক এখন সব সময় প্রস্তুত থাকে। তাই তাদের কাছে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে যে এই ঋণ তারা দেবে। এছাড়া আরো কিছু প্রকল্প পাইপ লাইনে আছে এই সব প্রকল্পের আওতায় ঋণ দেওয়া হবে বলে জানায় সংস্থাটি।


ঢাকা/হাসিবুল/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়