ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিশুখাদ্য আমদানিতে শিথিলতা প্রত্যাহার, দাম বাড়ার শঙ্কা

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৪ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
শিশুখাদ্য আমদানিতে শিথিলতা প্রত্যাহার, দাম বাড়ার শঙ্কা

করোনা পরিস্থিতিতে শিশুখাদ্য আমদানিতে সরকার যে কয়টি শর্ত শিথিল করেছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভোক্তারা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারি না বাড়ালে বিষয়টিকে পুঁজি করে পণ্যের দাম বাড়াতে পারে আমদানিকারক ও বিক্রেতারা।

আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আওলাদ হোসেন বলেন, করোনা পরবর্তী প্রভাব ও সংকট মোকাবিলায় শিশুখাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পণ্য আমদানিতে কয়েকটি শর্ত শিথিল করে ১১ মে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ৭ জুলাই আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।  এখন থেকে শিশুখাদ্য আমদানি করতে হলে সব শর্ত মানতে হবে।  সেগুলো হচ্ছে-  আমদানিকৃত ননীযুক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য ও শিশুখাদ্য টিন বা বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্সের ওপর দৃশ্যমান স্থানে ‘মায়ের দুধের বিকল্প নেই’ কথাটি বাংলায় সুস্পষ্টভাবে ও অপেক্ষাকৃত বড় হরফে লিখে রাখতে হবে।  মিল্ক ফুডের টিন বা বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্স এর ওপর দুধের উপাদান এবং বিভিন্ন উপকরণের আনুপাতিক হার বাংলায় লেখা থাকতে হবে।  প্রতিটি টিনসহ বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্স এর গায়ে মিল্ক ফুডের প্রকৃত ওজন (নিট ওয়েট) বাংলা বা ইংরেজিতে লিখে রাখতে হবে।  দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত শিশুখাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে পরিচালক জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচএন) দেওয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর স্পষ্ট অক্ষরে প্রতিটি টিন বা টিনসহ বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্সের গায়ে উল্লেখ থাকবে হবে।  এছাড়া আমদানি নীতি অনুয়ায়ী অন্যান্য শর্তও মেনে চলতে হবে।

এদিকে, শিশুখাদ্য আমদানিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের বেশি এলসি মার্জিন নির্ধারণ না করতে ব্যাংকগুলোকে গত ৪ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনাভাইরাসের কারণে সংকটময় পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে শিশুখাদ্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  ৩০ জুনের পর এই নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়। 

শিশুখাদ্য আমদানিকারক আমজাদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক পণ্য বিবেচনায় বাজারে শিশুখাদ্যের সরবরাহে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলা জরুরি।  তাহলে দামে স্থিতিশীল থাকবে।

আতিক রহমান নামের একজন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসায়ীদের অজুহাত দেওয়ার সুযোগ দিলেই দাম বেড়ে যাবে।  শর্ত শিথিলের আগেও এসব পণ্য আমদানি হয়েছে।  শর্ত শিথিল করার পরও কিন্তু এসব পণ্যের দাম বেড়েছে, প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন ব্যবসায়ীরা আবার নতুন করে দাম বাড়াতে পারে এই অজুহাতে। 

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, শিশুখাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে মাননিয়ন্ত্রণ জরুরি।  এরই মধ্যে সব ধরনের গুঁড়া দুধ আমদানিতে শতভাগ চালানে সিসা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  করোনা পরিস্থিতিতে চারটি বিষয়ে শিথিল করা হয়েছিলো, তা বাদ দেওয়া হয়েছে।  একে পুঁজি করে দাম বাড়ার চেষ্টা ও অবৈধপথে আনা হচ্ছে কি না—তা তদারকির আওতায় থাকে।

 

হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়