তদন্তেই আটকে আছে ত্বকী হত্যা মামলা
সাত বছর পেরিয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তও শেষ হয়নি। ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেছেন, বিচারের জন্য দিনের পর দিন বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে ধর্ণাও দিতে হচ্ছে। তদন্ত সংস্থা র্যাব বলছে, মামলার তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত সংস্থা ও র্যাবের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ শনিবার (৩ জানুয়ারি ২০২১) রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তনাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।’
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে কথা হয় ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ত্বকীকে হত্যার পর দোষীদের বিচার চাইতে সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ মাঠে নামে। করা হয় ত্বকী মঞ্চও। দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝর উঠে। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগও করি। কিন্তু তারা বলছে দ্রুতই তদন্ত শেষ হবে। এভাবে শুনতে শুনতে ৭ বছর হয়ে গেলো। জানি না কবে শেষ হবে। আমাকে দিনের পর দিন বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে ধর্ণাও দিতে হচ্ছে। ঘুরতে ঘুরতে আমি এখন ক্লান্ত।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এ দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। ত্বকী হত্যারও বিচার একদিন হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো আল্লাহ যদি চান তাহলে হয়তো দেখবো। সেদিনের অপেক্ষায় আছি।’
জানা গেছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে র্যাব ইউসুফ হোসেন ওরফে লিটন, সুলতান শওকত ও তায়েবউদ্দিন ওরফে জ্যাকিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে সুলতান শওকত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে শহরের আলোচিত রাজনৈতিক পরিবারের এক সদস্যের নাম বেরিয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরি ওসমানের টর্চার সেলে অভিযান চালায় র্যাব। হত্যার আলামত উদ্ধার করে। এছাড়া ১১ জনের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে।
এদিকে, হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ, ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠক ও শীতলক্ষ্যা নদীর ত্বকীর লাশ পাওয়া স্থানে আলোর ভাসান কর্মসূচি পালন করে আসছে সন্ত্রাস নির্মল ত্বকী মঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় ত্বকী। দুই দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাকসুদ/সাইফ
আরো পড়ুন