ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আগামী অর্থ বছরে অতিরিক্ত সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা চায় সওজ

হাসিবুল ইসলাম মিথুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২১  
আগামী অর্থ বছরে অতিরিক্ত সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা চায় সওজ

চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) চেয়ে  ১১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা বেশি দাবি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। প্রত‌্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি না হলেও আগামী (২০২১-২২) অর্থবছরের জন‌্য ২৮ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। 

এই বিষয়ে সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আসমা আক্তার জাহান বলেন, ‘নতুন অনুমোদিত প্রকল্প ও আসন্ন নতুন মেগা প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ননের জন্য এই অর্থের প্রয়োজন হবে।’

সওজের পর্যালোচনা সভার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য বরাদ্দ ২৪ হাজার ৫৬৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৭ হাজার ২১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সওজের জন‌্য বরাদ্দ। ডিটিসিএ-এর জন্য ১০ কোটি ৫১ লাখ টাকা, ডিএমটিসিএলের জন্য ৭২ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, এমআরটি লাইন-৫ (নর্দান)-এর জন্য  ৮০০ কোটি টাকা, এমআরটি লাইন-৫ (সাউদার্ন)-এর জন্য ১০০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, সচিবালয় কোডে সংরক্ষিত বরাদ্দ ৩৩২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (প্রোগ্রামিং) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১৭ হাজার ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যা আরএডিপিতে বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৬৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কিন্তু রিঅ‌্যাপ্রোপ্রিয়েশন অনুযায়ী বরাদ্দ থাকায় আশানুরূপ অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। 

২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দ ১৭ হাজার ২১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এখানে সরকারি খাতে অর্থায়ন ১৪ হাজার ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বৈদেশিক সহায়তা ৩ হাজার ১১ কোটি ১৪ রাখ টাকা। এর মধ্যে ছাড়যোগ্য অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৯০৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। থোক বরাদ্দ ৪ হাজার ২৯৭ কাটি ৮৮ লাখ টাকা। গত ২ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। তাই আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ২৮ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) এডিপির অগ্রগতির তথ্যানুযায়ী, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের চলমান প্রকল্প ১৯৭টি। এর মধ্যে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ২১ প্রকল্প। আর এই ছয় মাসে বাস্তবায়ন অগ্রগতি মাত্র ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। অর্থ ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৭১৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অর্থ ছাড় হয়েছিল ৩৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থই খরচ করতে পারেনি এই বিভাগের অধীন বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো।

সওজের কর্মকর্তারা বলেন, তাদের অধীনের কাজগুলো হলো মূলত মাঠ পর্যায়ের। করোনার কারণে এই সব নির্মাণ কাজগুলো সবার নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই কাজের গতি কম হয়েছে। যার ফলে বাস্তবায়ন হারও কমবে। এখন আবার সেই কাজ পুরোদমে শুরু করা হচ্ছে।

বর্তমানে এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের হার যে খুব খারাপ, তা নয়। বাস্তবায়ন হার ২ শতাংশের কিছু বেশি পিছিয়ে আছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়। মনে রাখতে হবে আমরা কোভিডের  সময় পার করছি।’ তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কাজগুলো কিছুটা সময় বন্ধ থাকায় গতি কম ছিল।  হক অর্থবছর যখন মহামারী খুবই ভয়াবহ অবস্থা ছিল, তখনো  ৮০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়নের হার ছিল। তখন মিডিয়াও চিন্তা করেছে কিভাবে এতটা হলো!’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সরকারের সদিচ্ছার কারণেই এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  

ঢাকা/হাসিবুল/এনই 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়