ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দরপত্রের পরিবর্তে সরাসরি কেনা হবে ২৫টি হুইল এক্সেভেটর

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৪, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
দরপত্রের পরিবর্তে সরাসরি কেনা হবে ২৫টি হুইল এক্সেভেটর

সময়স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে দরপত্র আহ্বান না করে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন পৌরসভার জন্য ২৫টি হুইল এক্সেভেটর কেনার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে আনুমানিক ব্যয় হবে ৫০ কোটি টাকা। এর আগেও একই পদ্ধতিতে বিভিন্ন পৌরসভার জন্য ৪০টি রোড রোলার সংগ্রহ করা হয়।

সূত্র জানায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পৌরসভা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাতের আওতায় ‘যান-যন্ত্রপাতি ক্রয়’ উপ-খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) হুইল এক্সেভেটর কেনার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩২৯টি পৌরসভা আছে। এসব পৌরসভায় নানামুখী নাগরিক সেবা দেওয়া হয়। ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে পৌরসভাগুলোতে আধুনিক নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য যান-যন্ত্রপাতির চাহিদা বাড়ছে। এ চাহিদা পূরণের জন্য ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পৌরসভা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের আওতায় পৌরসভার জন্য ‘যান-যন্ত্রপাতি ক্রয়’ উপ-খাতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে।

পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা অপসারণ এবং রাস্তার মাটি খননের জন্য বেশিরভাগ পৌরসভা থেকে এক্সেভেটরের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পৌরসভাগুলো যান-যন্ত্রপাতির চাহিদা পর্যালোচনা করে হুইল এক্সেভেটর সরবরাহের বিষয়ে মত দিয়েছে। তাই বরাদ্দকৃত ৫০ কোটি টাকা দিয়ে হুইল এক্সেভেটর কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে শহর এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় সাত মাস পেরিয়েছে। ফলে বছরের অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে জনস্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বরাদ্দকৃত ৫০ কোটি টাকায় হুইল এক্সেভেটর স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে এলজিইডি’র মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, পিপিআর-২০০৮ এর সংশোধনী ৭৬(১)(ছ) এর ব্যাখ্যায় ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি’ প্রয়োগ সীমিত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থে হুইল এক্সেভেটর কেনার জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

সূত্র জানায় , এর আগে গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশের বিভিন্ন পৌরসভার জন্য ৪০টি রোড রোলার (৯-১২ টন) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে পৌরসভাগুলেতে সরবরাহ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগের ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পাওয়া গেলে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে পৌরসভাগুলোর জন্য ২৫টি হুইল এক্সকাভেটর কেনা হবে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়