ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

৬৭ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির উদ্যোগ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০২, ৯ মার্চ ২০২১   আপডেট: ২৩:০৮, ৯ মার্চ ২০২১
৬৭ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির উদ্যোগ

আগামী সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আলাদা দুটি আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে ৬৭ লাখ ২০ হাজার এমএমবিটিইউ (প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। এতে ব্যয় হবে ৫২৭ কোটি ২৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

অষ্টম এলএনজি কার্গোর মাধ্যমে আমদানিতব‌্য ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ গ‌্যাসের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৮.৩৫৫ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ২৭৮ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এওটি ট্রেডিং এজি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এসব এলএনজি সরবরাহ করবে।

অন্যদিকে, নবম এলএনজি কার্গোর মাধ্যমে আমদানিতব‌্য ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ গ‌্যাসের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৭.৪৪২১ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ২৪৮ কোটি ৫৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা। সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এসব এলএনজি সরবরাহ করবে।

সূত্র জানায়, আগামী মার্চ ও এপ্রিলে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়ের  জন্য ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি প্রয়োজন। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। সঙ্গত কারণে আগামী এপ্রিল মাসে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী এলএনজি আমদানির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে তিনটি এলএনজি কার্গো আমদানি করা প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি থাকায় সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য এক্সেলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইইবিএল) এবং সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপিত দুটি টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি শুরু করেছে। বর্তমানে কাতার গ্যাস এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের সাথে দুটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া, বছরের কোনো সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমে গেলে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহ গ্রহণ না করলেও দাম পরিশোধ করতে হয়। এ বিবেচনায় এলএনজি আমদানিকারী দেশগুলো প্রয়োজনের কম-বেশি ২৫ শতাংশ এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে কিনে থাকে। এজন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্র জানায়, উল্লিখিত পরিমাণ এলএনজি কেনার জন্য আন্তর্জাতিক কোটেশন আহ্বান করা হলে অষ্টম এলএনজি কার্গোর জন্য ১৪টি এবং নবম এলএনজি কার্গোর জন্য ১৪টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানের দর অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। এ সংক্রান্ত দুটি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়ার জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে। 

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়