ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নিজস্ব অর্থায়নে শাহজালাল বিমানবন্দরে রাডার বসাতে চায় বেবিচক

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ১৬ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৪:৩১, ১৬ মার্চ ২০২১
নিজস্ব অর্থায়নে শাহজালাল বিমানবন্দরে রাডার বসাতে চায় বেবিচক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ফাইল ছবি: ইন্টারনেট থেকে)

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার বসছে। এই প্রকল্পে সরকারের আর্থিক সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে না।  নিজস্ব অর্থায়নে রাডারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।  

বেবিচক-সূত্রে জানা গেছে, বিমান চলাচল সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)-এর পরামর্শে  শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এরমধ্যে এই বিমানবন্দরের রাডার ব্যবস্থা উন্নয়নেরও পরামর্শ রয়েছে আইসিএও’র।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিউনিকেশন-নেভিগেশন-সার্ভেলেন্স ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (সিএনএস-এটিএম) ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ এই বিমানবন্দরের রাডার ব্যবস্থার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয় বেবিচক। 

প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে রাডার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন‌্য ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর  অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। পরবর্তী সময়ে  ২০১৭ সালের  ১ মার্চে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বর্ণিত যন্ত্র স্থাপন সংক্রান্ত  প্রকল্পটি পিপিপি-এর পরিবর্তে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর  এই বিমানবন্দরের রাডার ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কার্যক্রম জি-টু-জি ভিত্তিতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় সংস্থা থালেস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়। ফ্রান্সের সরকারি এই সংস্থার কাছ থেকে  রাডার সিস্টেমসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় সরাসরি কিনতে ২০১৯ সালের ৮ মে তারিখে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন নেওয়া। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে ফ্রান্সের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

সূত্র জানায়,জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় কেনা জন্য গঠিত নেগোসিয়েশন কমিটি ফ্রান্সের ওই সংস্থাটির সঙ্গে নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি বছর ৪ জানুয়ারি তারিখ প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর  প্রস্তাবের  উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়ন প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি অর্থায়নের পরিবর্তে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহিত করা হচ্ছে। 

বেবিচকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রকল্পটি বেবিচকের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।’ 

হাসনাত/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়