মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে প্রতীকী, চলছে প্রস্তুতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণ তৈরি করা হচ্ছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাংলা নববর্ষের সব আয়োজন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে করার নির্দেশ দিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাই, পহেলা বৈশাখে গণজমায়েত এড়াতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। শোভাযাত্রাটি চারুকলা চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এ সময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সীমিত পরিসরে করা হবে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উদযাপনের অন্যান্য আয়োজনও।
মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক নাজির খান শাহনেওয়াজ বলেছেন, ‘আমরা প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে থাকি। এটার উদ্দেশ্য—দেশ ও জাতির মঙ্গল। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর এটি করতে পারিনি। এবছর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। তবে শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আমরা প্রতীকী শোভাযাত্রা করার চিন্তা করছি।’
তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব ঐতিহ্য। এটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে করতে না পারা আমাদের জন্য কষ্টের। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরি করছেন। আমরা চারুকলার ভেতরে শোভাযাত্রা করব।’
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেয়েছি। স্বল্প পরিসরে আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এটি করা হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে। চারুকলার ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতীকীভাবে এটি করা হবে এবং অনলাইনে প্রচার করা হবে।’
গতকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘গত ২১ মার্চ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উদযাপন সংক্রান্ত কর্মসূচির বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো। কোনো অবস্থাতেই জনসমাগম করা যাবে না।’
ইয়ামিন/রফিক
আরো পড়ুন