ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যেভাবে যাওয়া সেভাবেই ফেরা, সংক্রমণের ঝুঁকিও একই

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০২, ১৬ মে ২০২১   আপডেট: ১৯:২২, ১৬ মে ২০২১
যেভাবে যাওয়া সেভাবেই ফেরা, সংক্রমণের ঝুঁকিও একই

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানী ছেড়ে আপন নীড়ে যায় মানুষ। এখন জীবিকার তাগিদে ঠিক একই কায়দায় ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। ঈদের আগেই অনেকে ঢাকায় ফেরার ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। বিশেষ করে, যারা ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়ি গিয়েছেন, তারা সেভাবেই ঢাকায় আসছেন।

বাড়ি যাওয়ার সময় তারা যেরকম করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিলেন, এখন ঢাকায় ফেরার সময়েও একই ঝুঁকিতে পড়ছেন তারা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই নেই। মুখে মাস্ক আছে, কিন্তু বাদবাকি স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো ইচ্ছেই যেন কারো নেই!

ঈদের আগে রাজধানীবাসীর একাংশ গ্রামের বাড়িতে গেছেন। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষ অন‌্যান‌্য যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে ঢাকা ছেড়েছেন। ফেরার পথেও পাচ্ছেন না দূরপাল্লার গণপরিহন। তাই যে কায়দা ও কৌশলে তারা বাড়ি গিয়েছিলেন, একই কায়দায় তারা ঢাকায় ফিরছেন। করোনা কিংবা সরকারি বিধিনিষেধ তাদের যেমন বাড়ি যাওয়া ঠেকাতে পারেনি, তেমনই ঢাকাতেও ফিরছেন তারা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই।

ঈদের পর রোববার (১৬ মে) ছিল প্রথম কর্মদিবস। তাই, যারা বাড়তি ছুটি নিয়েছেন তারা ছাড়া বাকিরা তাড়াহুড়া করে রাজধানীতে ফিরছেন। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, সিলেট ও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর মানুষ দ্রুতই ফিরছেন রাজধানীতে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ।

রোববার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের কাঁচপুর, রায়েরবাগ ও শনির আখড়া ঘুরে দেখা যায়, সকালের দিকে গাড়ির চাপ একটু কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে তা বাড়তে থাকে। রাজধানীর ওই প্রান্তে যানজট না থাকায় স্বস্তিতেই ফিরেছেন মানুষ। তবে কোনো প্রকার আন্তঃজেলা পরিবহন দেখা যায়নি।

ছোট ছোট যানবাহনই একমাত্র ভরসা। তবে দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। মিনি ট্রাকে করে ফিরতে দেখা গেছে সাধারণ শ্রমিকদের। অনেকে লোকাল বাসে করেই ঢাকায় ফিরছেন। যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারা ফিরছেন প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে।

কাজলায় কথা হয় নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফেরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মা-বাবা বাড়িতে থাকেন। তাই কষ্ট হলেও পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামে গিয়েছিলাম। অফিস থেকে এক দিনের ছুটি নিয়েছিলাম। কাল অফিস করতে হবে। গণপরিবহন বন্ধ। তাই মাইক্রোবাস ভাড়া করে পরিবার নিয়ে চলে এলাম। যদিও ভাড়া বেশি লেগেছে, তবে কষ্ট তো কম হলো। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে উপভোগ করতে পেরেছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাস্তা ফাঁকা। আসতে তেমন কষ্ট হয়নি।’

এদিকে, রোববারও অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। যারা ঈদের বন্ধে যেতে পারেননি, তারা মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য যাচ্ছেন গ্রামে।

মামুন/এমএম/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়