ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্বের ছিটেফোঁটা নেই

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ৩ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৯:৫৩, ৩ জুলাই ২০২১

করোনা সংক্রমণ রোধে সাত দিনের লকডাউন চলছে। শনিবার (৩ জুলাই) লকডাউনের তৃতীয় দিন। লকডাউন কার্যকর করতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। ফলে আগের চেয়ে অনেকটাই প্রধান সড়কে অপ্রয়োজনে যান ও পথচারীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে লকডাউনে ঠিক বিপরীত অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলো। অধিকাংশ বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার কোন চেষ্টাই নেই। পরিপালন করা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।

শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁও, গোড়ান, বাসাবো, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এসব এলাকার প্রধান সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা, কিন্তু অলিতে গলিতে মানুষের উপস্থিতি। অনেকে বসে গল্প করছেন, কেউ কেউ লকডাউন কেমন হচ্ছে দেখতে বের হয়েছেন। অনেকে বের হয়েছেন কোনো কারণ ছাড়াই।

শনিবার দুপুরে গোড়ান কাঁচা বাজারে আসা ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। বাজারকরতে আসা কেউই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। কেউ কেউ মেনে চলতে চেষ্টা করলেও, অপরের অসতর্কতায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। বেশিরভাগ মানুষ একে অন্যের গা ঘেঁষে বাজারে কেনাকাটা করছেন। বাজারে আসা ছোট-বড় অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না। আবার অনেকেই মাস্ক পড়লেও, তা নামিয়ে রেখেছেন নাক বা মুখের নিচে।

মালিবাগ রেলগেটে এলাকায় বাজার বসেছে প্রধান সড়কের ওপরে। সেখানেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। একই দৃশ্য বাসাবো, খিলগাঁও এবং রামপুরা বাজারে।

শনিবার উত্তর গোড়ান কবরস্থান রোডে বাজার করতে আসা আতাউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাসার বাজার শেষ হয়ে গেছে। তাই বাজার করতে এসেছি। লকডাউনে তো আর খাবার খাওয়া বন্ধ থাকবে না। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও বাজারে এসেছি। তবে গোড়ান বাজারের পরিস্থিতি অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। এ বাজারে হাটাচলা করতে গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগবেই। এখানে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই। এটা আমাদের জন্য বড় হুমকি।’

গোড়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা জসিম উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাজারে প্রচুর মানুষের আনাগোনা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন। বাজারে ভিড় কম থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হয়।’ তিনি উল্টো প্রশ্ন করলেনÑ‘এতো ভিড়ের মধ্যে কে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে, বলুন?’

স্থানীয়রা জানান, গোড়ান এলাকায় একটাই বাজার রয়েছে। তাই সব সময় এ বাজারে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। লকডাউনের মধ্যে বাজার করতে আসা মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। তবে বাজার চলাকালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বজায় থাকলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে  খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন তেমন বের হচ্ছে না। তবে লকডাউনে বাজার যেহেতু খোলা রয়েছে, সেহেতু সেখানে মানুষের জনসমাগম হচ্ছে। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি যাতে অযথা মানুষের ঘোরাঘুরি নিয়ন্ত্রন করা যায়। গোড়ানের বাজারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি যাতে মেনে চলা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বাজার কমিটিকে বলব।’

ঢাকা/এনটি/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়