ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পতাকার সম্মান ও বিধিমালা ১৯৭২

তরিকুল ইসলাম সুমন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১১ জুন ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পতাকার সম্মান ও বিধিমালা ১৯৭২

জাতীয় পতাকা

তরিকুল ইসলাম সুমন : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে পতাকা বিধিমালা প্রণয়ন করে। ২০১০ সালে তা সংশোধন করে ইংরেজি থেকে বাংলায় লেখা হয়। পাঠকদের জন্য জাতীয় পতাকা ব্যবহার বিধিমালা তুলে ধরা হলো-

পতাকার আয়তন এবং বর্ণনা : জাতীয় পতাকা গাঢ় সবুজ রঙের হইবে এবং ১০:৬  দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকিবে। লাল বৃত্তটি পতাকার  দৈঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধবিশিষ্ট হইবে। পতাকার  দৈর্ঘ্যরে নয়-বিংশতিতম অংশ হইতে অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হইতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু হইবে।

পতাকার রং :
পতাকার সবুজ পটভূমি হইবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট গ্রিন এইচ-২ আরএস ৫০ পার্টস। লাল বৃত্তাকার অংশ হইবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস।
ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার আয়তন : ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার ক্ষেত্রে তিনটি মাপ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটি দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ ৬ ফুট। দ্বিতীয়টি দৈর্ঘ্য ৫ ফুট, প্রস্থ ৩ ফুট এবং তৃতীয়টি দৈর্ঘ্য ২ ফুট, প্রস্থ ১ ফুট। (এক্ষেত্রে  সরকার ভবনের আয়তন অনুযায়ী এবং প্রয়োজনে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক রেখে বড় আয়তনের পতাকা প্রদর্শনের অনুমতি দিতে পারবে)
গাড়িতে ব্যবহারের জন্য পতাকার আয়তন : গাড়িতে ব্যবহারের জন্য মাপ হচ্ছে ১৫ : ৯ (বড় গাড়ি) এবং ১০ : ৬   (ছোট ও মাঝারি গাড়ির জন্য)। তবে ইচ্ছে করলেই যে কেউ গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না।

বাংলাদেশে পতাকা উত্তোলন : মহানবি (সা.)-এর জন্ম দিবস (ঈদ-এ-মিলাদুন্নবি), ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যেকোনো দিবস।

(এসব দিবস এবং উপলক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের অফিস ও কনস্যুলার পোস্টসমূহে নিম্নরূপ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করিতে হবে )

পতাকা অর্ধনমিত : ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোনো দিবস।

যেসব দেশে বাংলাদেশ মিশন অবস্থিত সেসব দেশের প্রথা অনুসারে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনসমূহ এবং কনস্যুলার পোস্টসমূহে পতাকা উত্তোলন করা হবে। যেসব দেশে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলনের প্রথা নেই, সেসব দেশে যে যে দিবসে সাধারণত পতাকা উত্তোলন করা হয়, সেসব দিবসে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হবে। কিন্তু যেসব দেশে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন করা হয়, সেসব দেশে একটি বিশেষ বড় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন এবং অফিসসমূহ : রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন প্রভৃতি, সব মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সচিবালয় ভবনসমূহ, হাইকোর্টের অফিসসমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসমূহ, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/কালেক্টর, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের অফিসসমূহ, কেন্দ্রীয় এবং জেলা কারাগারসমূহ, পুলিশ স্টেশন, শুল্ক পোস্টসমূহ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এ রকম অন্যান্য ভবন ও সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত ভবনসমূহে সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করা হবে।

পতাকার সম্মান বজায় রাখা : পতাকার প্রতি সব সময় যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করা, পতাকা দ্বারা মোটরযান, রেলগাড়ি অথবা নৌযানের খোল, সম্মুখভাগ অথবা পশ্চাদভাগ কোনো অবস্থাতেই আচ্ছাদিত করা  যাবে না। যেসব ক্ষেত্রে অন্য দেশের পতাকা অথবা রঙিন পতাকার সঙ্গে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করা হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য স্থান সংরক্ষিত থাকবে।  কেবল দুইটি পতাকা অথবা রঙিন পতাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ ভবনের ডানদিকে উত্তোলন করা হবে।

যেক্ষেত্রে পতাকার সংখ্যা দুইয়ের অধিক হয়, সেক্ষেত্রে অযুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ মাঝখানে এবং যুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ মধ্যভাগের ডানদিকে উত্তোলন করতে হবে। ‘বাংলাদেশের পতাকা’ অন্য পতাকার সঙ্গে আড়াআড়িভাবে কোনো দণ্ডে দেয়ালের বিপরীতে উত্তোলন করা হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা অন্য পতাকার ডানদিকে আড়াআড়িভাবে থাকবে (আড়াআড়িভাবে যুক্ত পতাকা দুইটির দিকে মুখ করে দণ্ডায়মান ব্যক্তির বাঁ দিকে) এবং পতাকা দণ্ডটি অন্য পতাকা দণ্ডের সম্মুখভাগে স্থাপিত হবে।

‘বাংলাদেশের পতাকা’র ওপরে অন্য কোনো পতাকা বা রঙিন পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। ‘বাংলাদেশের পতাকা’ শোভাযাত্রার মধ্যভাগে বহন করা হবে অথবা সৈন্য দলের অগ্রগমন পথে এবং শোভাযাত্রার ডানদিকে বহন করা হবে। মর্যাদার প্রতীক সম্বলিত ঢালে  অযুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ মধ্যভাগে এবং সর্বোচ্চ কেন্দ্রে থাকবে এবং যুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ঢালের ডানদিকে শীর্ষে (ঢালের দিকে মুখ করে দণ্ডায়মান ব্যক্তির বাঁ দিকে) বাংলাদেশের পতাকা স্থাপন করা হবে।

এখানে আরো বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে অন্য  কোনো দেশের সঙ্গে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ একত্রে উত্তোলন করা হয়,  সেক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ প্রথমে উত্তোলন করতে হবে এবং নামানোর সময় সর্বশেষে নামাতে হবে। দুই বা ততোধিক দেশের পতাকা প্রদর্শিত হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিটি পতাকা পৃথক পৃথক দণ্ডে উত্তোলন করা হবে এবং পতাকাসমূহ প্রায় সমান আয়তনের হবে।

অর্ধনমিত পতাকার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে : যেসব ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ অর্ধনমিত থাকে,  সেসব ক্ষেত্রে প্রথমে সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করা হবে এবং অতঃপর নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় আনা হবে। ওই দিবসে নামানোর সময় পুনরায় উপরিভাগ পর্যন্ত উত্তোলন করা হবে, অতঃপর নামাতে হবে।

দণ্ডের ওপর ব্যতীত অন্যভাবে কোনো দেয়ালের ওপর যদি ‘পতাকা’ প্রদর্শিত হয়, সেক্ষেত্রে তা দেয়ালের সমতলে প্রদর্শিত হবে। কোনো পাবলিক অডিটোরিয়াম বা সভায় ‘পতাকা’ প্রদর্শন করতে হলে তা বক্তার পশ্চাতে ওপরের দিকে প্রদর্শিত হবে।  যেক্ষেত্রে রাস্তার মাঝখানে পতাকা প্রদর্শিত হয়,  সেসব  ক্ষেত্রে তা খাড়াভাবে প্রদর্শিত হবে। কবরস্থানে ‘জাতীয় পতাকা’ নিচু করা যাবে না বা ভূমি স্পর্শ করানো যাবে না বলেও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

পতাকা নিম্নমুখী না করা : ‘পতাকা’ কোনো ব্যক্তি বা জড় বস্তুর দিকে নিম্নমুখী করা যাবে না। ‘পতাকা’ কখনই এর নিচের কোনো বস্তু  যেমন :  মেঝে, পানি বা পণ্যদ্রব্য স্পর্শ করবে না।      ‘পতাকা’ কখনই আনুভূমিকভাবে বা সমতলে বহন করা যাবে না। ঊর্ধ্বে এবং মুক্তভাবে থাকবে। ‘বাংলাদেশের পতাকা’ কোনো কিছুর আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, তবে শর্ত থাকে যে,  কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি যাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদা বা পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতাসহ সমাধিস্থ করা হয়, তার শবযানে পতাকা আচ্ছাদনের অনুমোদন করা যেতে পারে। ‘পতাকা’ এমনভাবে উত্তোলন, প্রদর্শন, ব্যবহার বা সংরক্ষণ করা যাবে না, যাতে তা সহজেই ছিড়ে যেতে পারে বা যেকোনভাবে ময়লা বা নষ্ট হতে পারে। কোনো কিছু গ্রহণ, ধারণ, বহন বা বিলি করার জন্য ‘পতাকা’ ব্যবহার করা যাবে না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আরোপিত কোনো শর্তাবলী (যদি থাকে) এবং লিখিত অনুমোদন ব্যতীত, কোনো ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য, সম্বোধন, পেশা বা অন্য  যেকোন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ‘পতাকা’ কোনো  ট্রেড মার্ক, ডিজাইন, শিরোনাম অথবা কোনো প্যাটেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।  

পতাকা ব্যবহারের অনুপযোগী হলে : আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যেক্ষেত্রে ‘পতাকা’র অবস্থা এমন হয় যে, তা আর ব্যবহার করা না যায়, সেক্ষেত্রে তা মর্যাদাপূর্ণভাবে, বিশেষ করে সমাধিস্থ করে নিষ্পত্তি করতে হবে। পতাকা দ্রুততার সঙ্গে উত্তোলন করতে হবে এবং সসম্মানে নামাতে হবে। ‘পতাকা’ উত্তোলন ও নামানোর সময় এবং প্যারেড পরিক্রমণ ও পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সকলে ‘পতাকা’র দিকে মুখ করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। যেক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পতাকা’ উত্তোলন করা হয়, সেক্ষেত্রে একই সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইতে হবে। যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং ‘জাতীয় পতাকা’ প্রদর্শিত হয়, তখন উপস্থিত সকলে ‘পতাকা’র দিকে মুখ করেয়া দাঁড়াইবেন। ইউনিফর্মধারীরা স্যালুটরত থাকিবেন। ‘পতাকা’ প্রদর্শন না করা হইলে, উপস্থিত সকলে বাদ্য যন্ত্রের দিকে মুখ করিয়া দাঁড়াইবেন, ইউনিফর্মধারীরা জাতীয় সঙ্গীতের শুরু হইতে শেষ পর্যন্ত স্যালুটরত থাকিবেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি ব্যতীত, ‘জাতীয় পতাকা’ অর্ধনমিত করা যাইবে না, তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ( যে  দেশের নিকট তিনি আস্থাভাজন) ইচ্ছা করিলে ঐ সকল দিবসে ‘পতাকা’ অর্ধনমিত রাখিতে পারিবেন, যে সকল দিবসে উক্ত দেশে, সরকারীভাবে ‘পতাকা’ অর্ধনমিত রাখা হয়।

সাধারণ নির্দেশাবলী
মোটর গাড়ী, নৌযান এবং উড়োজাহাজ ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্থ পর্যন্ত ‘পতাকা’ উত্তোলিত থাকিবে, তবে শর্ত থাকে যে, বিশেষ কারণে ভবনসমূহে রাত্রে ‘পতাকা’ উত্তোলিত রাখা যাইতে পারে,  যেমন- সংসদের রাত্রের অধিবেশন চলাকালীন অথবা রাষ্ট্রপতি, অথবা মন্ত্রীগণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়। যে ক্ষেত্রে মোটর গাড়ীতে ‘পতাকা’ প্রদর্শন করা হয়, সেই ক্ষেত্রে গাড়ীর  চেসিস অথবা রেডিয়েটর ক্যাপের ক্ল্যাম্পের সহিত পতাকা দন্ড দৃঢ়ভাবে আটকাইতে হইবে।‘পতাকা’র উপর কোন কিছু লিপিবদ্ধ করা যাইবে না বা ছাপান যাইবে না। কোন অনুষ্ঠান বা অন্য কোন উপলক্ষে ‘পতাকা’র উপর কোন কিছু লিপিবদ্ধ করা যাবে না। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী কর্তৃক ‘পতাকা’র ব্যবহার এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিশেষ বিধিমালা দ্বারা পরিচালিত হইবে।

বাংলাদেশে বিদেশী পতাকার ব্যবহার
বাংলাদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনসমূহের চ্যান্সারী  ভবন এবং কনস্যুলার অফিসসমূহে বিদেশের ‘জাতীয় পতাকা’ উত্তোলন করা যাইতে পারে। অধিকন্তু, কূটনৈতিক মিশনসমূহের প্রধানগণ তাঁহাদের সরকারী ভবন এবং মোটর গাড়ীতে তাঁহাদের ‘জাতীয় পতাকা’ উত্তোলন করিতে পারিবেন।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ভ্রমণকালীন সময়ে সম্মানিত বিদেশী ব্যক্তিগণ তাঁহাদের নিজস্ব পতাকা অথবা নিজস্ব পতাকা না থাকিলে তাঁহাদের দেশের জাতীয় পতাকা তাঁহাদের অফিসিয়াল বাসভবনে এবং মোটর গাড়ীতে উত্তোলন করিতে পারিবেন (রাষ্ট্রপ্রধান, ভ্রমণরত প্রধানমন্ত্রী,বিদেশী সরকারের মন্ত্রীবর্গ)।

বাংলাদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনসমূহ কোন উপলক্ষ্যে (জাতীয় দিবসসমূহে কূটনৈতিক মিশন প্রধানের বাসভবন বা চ্যান্সারী ব্যতীত,  যে স্থানে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হইবে,  সেইস্থানে তাঁহাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করিতে পারিবে, তবে শর্ত থাকে যে, সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশের ‘পতাকা’ও সম্মানজনক স্থানে পাশাপাশি উত্তোলন করিতে হইবে।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুন ২০১৪/তরিকুল/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়