ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ১৭ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞান শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে নানা রঙের ফুলঝুরি ছড়ানো কিছু ছবি, টেলেস্কোপ, তারা, ছায়াপথ, মহাকাশ নিয়ে নানান সুন্দর ফিচার। কিন্তু যারা সত্যিকার গবেষণা করেন তাদের কাছে জোতিপদার্থবিজ্ঞান কেমন? এতদূরে বসে তারা কীভাবেই বা জানলেন ওইসব দূর নক্ষত্রের খবর?

যারা জোতির্বিজ্ঞানে কাজ করেন তাদের জগৎ কেবল ডেটা, গ্রাফ, কোডিং আর কম্পিউটার। বিভিন্ন টেলিস্কোপ বিভিন্ন সময়ে আকাশের বিভিন্ন অংশের উজ্জ্বলতার আর বর্ণালীর ডাটা নেয়। এরকম বিপুল পরিমাণ ডেটা বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে আমাদের মহাকাশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন।

১৬ ও ১৭ আগস্ট তারিখে রাজধানীর মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগারে (ম্যাসল্যাব) অনুষ্ঠিত হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞান গবেষণা পরিচিতি শীর্ষক কর্মশালা। কর্মশালাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি। সহযোগিতা করেছে জার্মানির বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমি এবং হাউজ অব অ্যাস্ট্রোনমি। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিভিন্ন অ্যাস্ট্রোনমিকাল ডেটাবেজ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ডেটাবেজের তথ্য ব্যবহার করে বোধগম্য গ্রাফ ও সিদ্ধান্ত নেবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয় কর্মশালায়। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসকল পদ্ধতি ব্যবহারে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

কর্মশালায় টপক্যাট সফটওয়্যার ব্যবহার করে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ডেটাবেজে প্রবেশ করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি শেখানো হয়। গায়া স্যাটেলাইট এবং সুপারনোভার উপাত্ত থেকে গ্রাফ বানানো, নতুন তথ্য বের করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা শেখেন অংশগ্রহণকারীরা। তাদের সিডিএস সার্ভিসেস ব্যবহার করার বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও ধারণা দেয়া হয়।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আকিব। তিনি ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমিতে রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন। তার সহযোগী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী গৌতম চন্দ্র পাল।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি, ম্যাসল্যাব, ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমি ও হাউজ অব অ্যাস্ট্রোনমির পক্ষ হতে সার্টিফিকেট ও ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের পরবর্তীতে ম্যাসল্যাব এবং ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের পক্ষ হতে পরিচালিত গবেষণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ আগস্ট ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়