ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘মোস্ট ওয়েল-ফান্ডেড’ স্টার্টআপস তালিকায় ‘সহজ’

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মোস্ট ওয়েল-ফান্ডেড’ স্টার্টআপস তালিকায় ‘সহজ’

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘সহজ’কে এশিয়ার অন্যতম ‘ওয়েল-ফান্ডেড স্টার্টআপ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডাটাবেজ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিবি ইনসাইট। অনলাইনে টিকেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে সহজ। এরপর স্টার্টআপটি রাইড-শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারি সেবায়ও নিজেদের কার্যক্রম বিস্তৃত করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে।

২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে ১০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে এবং ইক্যুইটি ফান্ডিংও পেয়েছে শুধু সেসব স্টার্টআপকেই এ তালিকার জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। তালিকায় সহজের সম্প্রতি পাওয়া বিনিয়োগের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে যদিও স্টার্টআপটি এর আগেও এর আগেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছিল।

তালিকার পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে। একমাত্র চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যানট ফাইন্যান্সিয়াল ১০০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি ইক্যুইটি ফান্ডিং পেয়েছে। সহজ, সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন গেট ভেঞ্চার থেকে দেড় কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান পাওয়া থেকে এটাই সর্বোচ্চ পরিমাণ বিনিয়োগ। সিবি ইনিসাইটের ‘ওয়েল ফান্ডেড’ তালিকায় সর্বনিম্ন স্থান পাওয়া স্টার্টআপ হচ্ছে শ্রীলঙ্কার ওডক। ওডক সিড ফান্ডিং হিসেবে বিনিয়োগ পেয়েছে ১১ লাখ মার্কিন ডলার। বিস্তারিত জানতে ভিজিট :

এ নিয়ে সহজের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির বলেন, ‘সহজের সফলতার পেছন রয়েছে বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ও স্বনামধ্য বিনিয়োগকারীরা। যেখানে উদ্যোক্তারা ১৬ কোটি তরুণ, উদ্যমী ও পরিশ্রমী মানুষের দেশ, বাংলাদেশের ওপর আস্থা রেখেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ ও প্রতিশ্রুতিশীল উদ্যোক্তাদের দেশ। যারা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসায়িক খাতের সুযোগ তৈরি করেছে। সামগ্রিকভাবে আমরা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পে বিশ্বাস করি। উদীয়মান অর্থনীতিতে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবন সহজ করার প্রত্যয়ে আমি সহজ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি, অনলাইন টিকেট সেবা, রাইড সেবা এবং ফুড ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে সহজ দেড় কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র। অনলাইনে আমরা আরও অনেক পণ্য ও সেবা নিয়ে আসতে চাই, গ্রাহক অভিজ্ঞতায় আমরা উৎকর্ষের উদাহরণ তৈরি করতে চাই। আমাদের কর্মীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সহজকে আমরা এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে সবাই কাজ করতে চাইবে। অনলাইনে প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রদানে সর্ববৃহৎ ‘ওয়ান-স্টপ’ গন্তব্যে পরিণত হওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়