ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

উইটসা অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১০ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উইটসা অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ

ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডব্লিউসিআিইটি) সম্মেলনে ‘উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ অর্জন করল বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। সম্মেলনে পাঁচটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল সম্মাননা চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

বুধবার আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভ্যানের কারেন ডেমিরচান কমপ্লেক্সে তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত এই সম্মেলনের অ্যাওয়ার্ড নাইটে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। উইটসা’র চেয়ারম্যান ইভোন চু এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম। এসময় বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ার্ল্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সংগঠন উইটসা’র সদস্য। বিসিএস বাংলাদেশ থেকে এ সম্মাননার জন্য বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নাম প্রস্তাব করে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং আইসিটি সেক্টরের বিকাশে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই পুরস্কার পাওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্বে আইসিটি সেক্টরে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনার দ্বার আরো সম্প্রসারিত হলো।

চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড অর্জন সম্পর্কে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এই অর্জন তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের পদধ্বনি সারা পৃথিবীকে আলোড়িত করেছে। হাই-টেক পার্কের মাধ্যমে আমরা বিদেশি বিনিয়োগের পথকে সহজ করেছি। দেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, আইটি বিশেষজ্ঞ তৈরিসহ শ্রম শক্তির পাশাপাশি মেধা শক্তিতে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট অব থিংস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই), রোবট নির্মাণে দেশের তরুণরা অগ্রসর হচ্ছে।’

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘হাই-টেক পার্কের এই সফলতায় আমরা গর্বিত। আমাদের এই অর্জনের কৃতিত্ব শুধু আমাদের একার নয়। দেশের তরুণ সমাজের স্বপ্নপূরণে হাই-টেক পার্ক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আইটি ব্যবসায় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হাই-টেক পার্কে নিজেদের পরিধি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। তথ্যপ্রযুক্তিতে তড়িৎ গতির উন্নয়নের এই পদযাত্রা চলমান থাকবে। আমরাই হবো তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান।’

বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, ‘উইটসার একমাত্র সদস্য হিসেবে বিসিএস তথ্যপ্রযুক্তিতে অনন্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ককে মনোনয়ন দিয়েছিল। এই মনোনয়ন নিঃসন্দেহে সঠিক পদক্ষেপ ছিল। সময় এখন আইসিটিতে সারা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেয়ার। দেশের প্রতিটি কোণে যখন আইসিটির সুবাতাস প্রবাহিত হচ্ছে তখন এই বিশ্বকে আইটিতে নেতৃত্ব দিতে আমাদের চেয়ে যোগ্য আর কেউ হবে না। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলো যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে সফলতায় সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত করার জন্য আমি উইটসাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‍উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে উচ্চ প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিতকরণ এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর শুরু হওয়া উইটসার ২১তম সম্মেলন ডব্লিউসিআইটিতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্ব ৩৭ সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করেছে।



ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়