ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টাইগার চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ পর্বে জিতল তিনটি স্টার্টআপ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টাইগার চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ পর্বে জিতল তিনটি স্টার্টআপ

বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর এমআইটি সলভের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত টাইগার চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ অংশের চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হয়েছে তিনটি দল। সম্প্রতি হোটেল রেডিসনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্বের পর তিন বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হয়। জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

জানা গেছে, বিজয়ী তিনটি দল সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক মেন্টরিং-এর সুযোগ পাবে। এছাড়া টাইগার চ্যালেঞ্জের বৈশ্বিক পর্বেও এই তিন দল সরাসরি ফাইনালিস্ট হিসেবে অংশ নিতে পারবে। বৈশ্বিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে।

বিজয়ী তিনটি দল হলো ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বাধীন ব্রেইলি। এটি অন্ধদের জন্য একটি পাঠ-সহায়ক পদ্ধতি তৈরি করেছে, যা কম মূল্যে অন্ধদের পাঠ্যপুস্তক ও সহায়ক পাঠ্য পৌঁছাতে সহায়তা করবে। নির্বাচিত হয়েছে সদ্য প্রকৌশলী সাদমান মজিদের অনলাইন সহপাঠি। এটি ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের একটি প্ল্যাটফর্ম। এছাড়া পারিবারিক চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সিস্টেম প্রাভা হেলথ বিজয়ী আর একটি দল। এই দলের দলনেত্রী সিলভানা সিনথিয়া।

অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চোধুরী আশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী ও স্টার্টআপদের জন্য আয়োজিত এই ধরনের চ্যালেঞ্জ দেশে একটি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। তিনি তরুণ ও উৎসাহী উদ্ভাবকের পাশে দাড়ানোর জন্য সবাইকে আহবান জানান।

এ উপলক্ষে চূড়ান্ত পর্বে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ভেঞ্চার বিনিয়োগকারী ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সহজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির, ক্লাউড ক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মাহাদীউজ্জামান ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।

উল্লেখ্য গত ১৮ জুন টাইগার চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ পর্বের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এরপর ২ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর মোট ৪৯০টি সমাধান জমা পড়ে। সেখান থেকে এমআইটি সলভের পক্ষ থেকে মোট ১৫টি দলকে ফাইনালিস্ট হিসেবে বাছাই করা হয়। বিজয়ী তিন দল ছাড়াও বাকি ১২টি দল হলো- আলো, আমার আস্থা, ক্যারিয়ার কী, সিএমইডি ডিজিটাল প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং মডেল, শিশু, মহিলা এবং প্রবীণ রোগীদের জন্য মহিলা ডাক্তারদের সক্ষম করা, গারবেজম্যান, জিওপোটেটো, খামার-ই, আইসিইউ, কৃষি উৎস–ক্ষুদ্র ধারক কৃষক 'ওয়ান স্টপ সলিউশন সেন্টার, মেডিজোন এবং যান্ত্রিক।

চূড়ান্ত পর্বে দুই দিনব্যাপী চ্যালেঞ্জের প্রথম দিন প্রতিটি দল বিচারকদের সামনে আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের প্রকল্প তুলে ধরেন। ২০ মিনিট স্থায়ী এই পর্বে তিন মিনিটের উপস্থাপনা শেষে বিচারকরা প্রত্যেক দলকে ১৭ মিনিট প্রশ্ন করেন। দ্বিতীয় দিন প্রতিযোগীরা আবার ৩ মিনিটের পাবলিক পীচের সুযোগ পান। দুই পর্বের শেষে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করা হয়। বিচার পর্বে এমআইটি সলভের বিচারকরা ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ফিউচার প্ল্যানেট ক্যপিটালের নির্বাহী চেয়ারম্যান ডগলাস হ্যানসেন লুক, এসবিকে টেক ভেঞ্চারের চেয়ারম্যান সোনিয়া বশীর কবীর, প্যাট্রিক জে ম্যাক গভার্ন ফাউন্ডেশনের অন্যতম ট্রাস্টি বিলাস ধর, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ড. মাহফুজুল ইসলাম এবং ভেঞ্চার বিনিয়োগকারী নির্ধর রহমান।

টাইগার চ্যালেঞ্জ টাইগার আইটি ফাউন্ডেশন এবং এমআইটি সলভের একটি উদ্যোগ।


ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়