নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৯ প্রকল্প
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা আয়োজিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’। আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতার মূল পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ৯টি প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মূল পর্বে অংশগ্রহণের প্রকল্প চূড়ান্ত করার জন্য দেশে পঞ্চমবারের মতো নাসার এই প্রতিযোগিতার স্থানীয় আয়োজক হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও সহযোগিতা করে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম।
বেসিসের আয়োজনে এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের ৯টি শহর থেকে চার হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা পড়েছিল। সেখান থেকে শীর্ষ ৪৫টি প্রকল্পকে নিয়ে রাজধানীর আইডিইবিতে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুইদিনব্যাপী হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩৬ ঘণ্টা টানা হ্যাকথন আয়োজনের পর ২০ অক্টোবর রাতে জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চূড়ান্ত হওয়া ৯টি টিম হলো- স্পেসটাইম (ঢাকা), আল্ট্রা রোবটিক্স (চট্টগ্রাম), টিম কিউরিয়াস (রাজশাহী), এরিয়াল এক্স (কুমিল্লা), ভিআর ওয়েব (সিলেট), টিম রেডিয়েন্ট (খুলনা), ও-জোন (বরিশাল), লুনার ফেলো (রংপুর) এবং যেকেকেএনআইইউ টেক হাব (ময়মনসিংহ)।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদুল হক। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব আইডাহো’র অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. হাসান জামিল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, ‘গত বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেওয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের দলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় সিলেট থেকে বিজয়ী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’। এ বছর নাসার আমন্ত্রণে টিম অলিক গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নদের জন্য আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। এবার আরো ভালো কিছু করার আশা করছি আমরা।’
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ সম্পর্কে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, টেকনোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, এডুকেটর, উদ্যোক্তা ইত্যাদিসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই হলো এর মূল লক্ষ্য।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান বলেন, মহাকাশ এর বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু, চাঁদ, অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র সহ ৫টি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২১টি সাব ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত ৫ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো, আশা করছি ২০১৯-এ আমাদের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্ব পরিমন্ডলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং তরুণদের সক্ষমতা তুলে ধরতে এ নিয়ে বেসিস পাঁচবার নাসার সাথে যৌথ নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর আয়োজন করলো। গতবছর আমরা ১টি ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার পরিধি আরো বেড়েছে। বাংলাদেশ আরো ভালো করবে এটাই আমার বিশ্বাস।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর সহযোগী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল, আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক আবদুল হাই এবং ইন্টারনেট পার্টনার আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ।
ঢাকা/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন