ফোল্ডেবল ফোন কতটা টেকসই?
মোবাইল জায়ান্ট দুটি কোম্পানি কিছুদিন আগে বেশ ঘটা করে তাদের নিজ নিজ ফোল্ডেবল স্মার্টফোন উম্মোচন করে। তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে মটোরোলা, যে কিনা ফোল্ডেবল ফোনের জন্য এমনিতেই বিখ্যাত। আরেকটি হচ্ছে স্যামসাং। স্যামসাং এরও ফোল্ডেবল ফোনের জন্য খ্যাতি আছে।
কিন্তু ঢাকঢোল পিটিয়ে চাকচিক্যময় যেসব ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনা হলো, তা আসলে কতটা টেকসই? কেননা ফোল্ডেবল ফোন যারা ব্যবহার করেছেন তারা সকলেই জানেন ফোল্ডেবল ফোন আসলেই স্পর্শকাতর একটা ফোন। তাছাড়া এক সময় দেখা যেত, ফোল্ডেবল ফোনের স্ক্রিনে সমস্যা হতো। যেহেতু ফোল্ডেবল ফোনে কব্জা থাকে তাই এই ফোনের স্ক্রিনে বেশি চাপ পরে। ফলে ফোন খুব একটা টেকসই হয় না।
কিন্তু দুই মোবাইল জায়ান্ট যেভাবে ঢাকঢোল পিটিয়েছিল তাতে ভাবা হয়েছিল এবার বুঝি নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে ফোল্ডেবল ফোন আগের চেয়ে অনেক বেশি টেকসই হবে। কিন্তু সম্প্রতি প্রযুক্তি সাইট সিনেট এই দুই ফোল্ডেবল ফোনের ড্রপ টেস্ট করেছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র তিন ফুট উচ্চতা থেকে ফেলার পর দুটি ফোনেই ফাটল দেখা দিয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, প্রথমবার ফেলার পরেই ফোনগুলোর এই দশা। মটোরোলার রেজর ফোনের অবস্থা স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপের তুলনায় খারাপ। তাছাড়া একজন গ্রাহক জানিয়েছেন মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবহারের পরই তার মটোরোলার রেজর ফোল্ডেবল ফোনটি ভেঙে যায়। তাও খুব সাধারণ ভাবেই ব্যবহার করা হয়েছিল।
মটোরোলার রেজরের কব্জা মানে ফোল্ডেবল অংশ ২৭০০০ বার খোলা বা বন্ধের পর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। অথচ রেজর ফোন একবার নষ্ট হলে সহজে সারানো যায় না, সেই নিরিখে এই ফোনের ডিউরাবিলিটি আরো ভালো হওয়া উচিত ছিল।
যদিও দুটি ফোনই একটার চেয়ে আরেকটা সামান্য উনিশ আর বিশ, তবুও বিশ্লেষকরা স্যামসাং গ্যালক্সি জেড ফ্লিপকে এগিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত ফোল্ডেবল ফোন টেকসই হতে পারেনি যদিও প্রযুক্তি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন