ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জাকারবার্গ-শেরিলকে ফেসবুক থেকে অপসারণের দাবি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাকারবার্গ-শেরিলকে ফেসবুক থেকে অপসারণের দাবি

শেরিল স্যান্ডবার্গ ও মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোস। তিনি ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এবং প্রধান পরিচালন কমকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গকে ‘ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ দায়িত্ব’ থেকে অপসারণ করার আহবান জানিয়েছেন।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে সোরোস বলেন, ‘জাকারবার্গ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ধরনের পারস্পরিক সহায়তা ব্যবস্থায় জড়িত বলে মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে ফেসবুকের নীতি ট্রাম্পকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে সাহায্য করবে।’

তবে মার্কিন এই ধনবুকের তাঁর দাবির সত্যতার পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। ধনকুবের পরিচয় ছাড়াও সোরোস তাঁর সমাজসেবা এবং উদার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত।

তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধে সরাসরি ফেসবুকের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যদিও ফেসবুক এই পথ অনুসরণ করবে এমন সম্ভাবনা কম।’ বিশাল এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি জাকারবার্গ বা শেরিল স্যান্ডবার্গের নিয়ন্ত্রণে থাকাটা আর উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘আমরা যদিও জর্জ সোরোসের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করি, তবে তিনি ভুল। কোনো একক রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিত্বের প্রতি আমরা পক্ষপাতী-এমন অভিযোগ অসত্য এবং আমাদের মূল্যবোধের বিরোধী। আমাদের প্ল্যাটফর্মকে নিরাপদ রাখতে, বিশ্বব্যাপী নির্বাচনে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ রুখতে এবং ভুয়া তথ্য প্রসারের বিরুদ্ধে লড়তে আমরা প্রায়ই অভূতপূর্ব বিনিয়োগ করে থাকি।’

ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের অবাধ সুযোগ থাকায় বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্যাপক সমালোচনা চলছে। তবে ফেসবুকের যুক্তি হচ্ছে, তাদের প্ল্যাটফর্ম রাজনীতিবিদদের বাকস্বাধীনতা অধিকারের পক্ষে। তাছাড়া রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলো থেকে প্ল্যাটফর্মটির বিজ্ঞাপন আয়ের ছোট্ট একটি অংশ আসে। ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অর্থ খরচ করে যেকোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন।

কিছুদিন আগে জার্মানিতে এক সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের আইন বিভিন্ন দেশের সরকারের করা উচিত। মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পদক্ষেপ নেয়া ঠিক হবে না। কোন বক্তার বক্তব্য যাবে, সেগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।’

জাকারবার্গের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে লেখা নিবন্ধে সোরোস বলেন, ‘রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে ফেসবুকের সরকারি বিধিবিধানের জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। এটি সরাসরি ফেসবুকের নিষিদ্ধ করা উচিত।’

রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফেসবুকের নীতিমালায় ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। টুইটার ইতিমধ্যে তাদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে গুগলেরও কঠোর নীতিমালা রয়েছে।


ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়