ধারণার চেয়েও বেশি সময় বাতাসে থাকে করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস সহ ক্ষুদ্র কণা বাতাসে বেশিক্ষণ ভেসে থাকতে পারে বলে নতুন গবেষণায় জানতে পেরেছেন গবেষকরা। আগে ধারণা করা হয়েছিল ভাইরাসটি বেশিক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না।
ফিনল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী একটি থ্রিডি মডেলের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, কিভাবে মানুষের কাশি, হাঁচি বা কথা বলার মাধ্যমে বাতাসে থাকা অতি ক্ষুদ্র কণার উপর ভর করে করোনাভাইরাস বাতাসে বেশিক্ষণ ভেসে বেড়ায়। গবেষকরা বলছেন, ব্যস্ত ইনডোর জায়গাগুলোতে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে তাদের এই গষেণা সহায়ক হতে পারে।
অনেকটা সুপার মার্কেটের মতো পরিবেশের একটি অংশে কেউ কাশি দিলে কিভাবে করোনাভাইরাস বাতাসে ভেসে বেড়ায়, তা দেখিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, কেউ কাশি দিলে তার শরীরে থাকা করোনাভাইরাস পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেশ কয়েক মিনিট ভাসে।
ফিনল্যান্ডের আলটো ইউনিভার্সিটির সহকারী প্রফেসর ভিলে ভোরিনেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কোনো ব্যক্তি কাশি দিয়ে হেঁটে চলে গেলে তার পেছনে বাতাসে থাকা অতি ক্ষুদ্র কণায় আটকে থাকে করোনাভাইরাস। বাতাসে থাকা সেসব ক্ষুদ্র কণা এই ফাঁকে ওই জায়গায় থাকা অন্য মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে।’
গবেষণায় ২০ মাইক্রোমিটারের ছোট ক্ষুদ্র কণাকে থ্রিডি মডেলে উপস্থাপন করেছেন গবেষকরা। তাদের মতে, এ কারণে সুপার মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ও ব্যস্ত ইনডোর জায়গায় যাওয়া যাবে না।
ফিনিশ ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারের চিফ স্পেশালিস্ট জুসি সেইন বলেন, এই গবেষণার ফলাফল জানার পর যারা শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ বোধ করছেন, তাদেরকে অন্যদের কাছ থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
ঢাকা/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন