গর্ভবতীদের করোনা ঝুঁকি কতটা?

নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, গর্ভবতী নারীরা করোনা ভাইরাসের বড় ঝুঁকিতে নেই। জরিপে জানা গেছে বৃটেনে ১ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত যেসব সন্তান সম্ভবা নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে জটিলতায় পড়েছেন, তারা আসলে গর্ভাবস্থার শেষ সময়ে ছিলেন।

গবেষকরা বলছেন, এর মানে হলো যাদের গর্ভকালীন সময় বেশি হয়েছে, তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব খুব সতর্কতার সাথেই মেনে চলতে হবে।

এই গবেষণাটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও বৃটেনের রয়াল কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ান্স এন্ড গাইনোকলজিস্টদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছে। বৃটেনে লকডাউন শুরু হওয়ার পর গর্ভবতী নারীদেরকে অন্তত ১২ সপ্তাহ গৃহবন্দি থাকতে বলা হয়। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী সোমবার হাউস অব কমন্সে লক ডাউন শিথিলের প্রস্তাব করার সময় গর্ভবতী নারীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই জোর পরামর্শ দিয়েছেন।

নতুন গবেষণাতে ৪২৭ জন গর্ভবতীর উপর যে নজরদারি করা হয়, তাতে অবশ্য দেখা গেছে তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত খুব কম সংখ্যকই জটিল অবস্থায় পড়েছেন।

গবেষণায় অংশ নেয়া ৫ জন গর্ভবতী করোনা জটিলতায় মারা গেছেন। আরেকটি দিক উঠে এসেছে যে, গর্ভবতী নারীদের মাঝে কৃষ্ণাঙ্গ বা এশিয়ান বংশোদ্ভূতদেরই করোনায় আক্রান্তের পর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

গর্ভবতী নারীদের মাঝে যাদের বয়স একটু বেশি, ওজন বেশি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস সহ অন্য শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন, তাদেরকেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে গবেষণায় জানা গেছে। নবজাতকদের ক্ষেত্রে ৫ জনের মধ্যে একজন সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছে বা তাকে নিউ নাটাল ইউনিটে ভর্তি করতে হয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত নারীদের প্রতি ২০ জন শিশুর মাঝে একজনকে করোনা ভাইরাস বহন করতে দেখা গেছে, যা আশংকাজনক নয় বলেই মনে করছেন গবেষকরা। যারা এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন, তাদের ৬০ শতাংশকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

মূল গবেষক, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ম্যারিয়ান নাইট বলেছেন- ‘কোভিড-১৯ রোগে খুব অল্প সংখ্যক গর্ভবতী নারী জটিলতায় ভুগেছেন। বেশিরভাগ গর্ভবতী যাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তাদের গর্ভকালীন সময় ৬ মাসের বেশি ছিল। তাই গর্ভকালের শেষ সময়টায় সামাজিক দূরত্ব বেশি মেনে চলা উচিত, এটা তা-ই প্রমাণ করে।’



ঢাকা/ফিরোজ