তথ্যপ্রযুক্তিতে মেধাবী খুঁজতে সিডস ফর দ্য ফিউচার

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সল্যুশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশে তাদের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২০’ প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। সোমবার (১০ আগস্ট) অনলাইনে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেং জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এস. এম. মোস্তফা আল মামুন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আশিকুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, বিগত বছরের এই প্রোগ্রামের দুই বিজয়ী এবং হুয়াওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ বছর এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পাঁচটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী নির্বাচন করবে হুয়াওয়ে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা চীনের বেইজিং ও শেনঝেনে অবস্থিত হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঁচ দিনব্যাপী অনলাইন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। এ বছরের প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে ছাত্রছাত্রীগণ অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিযোগিতায় ঢাবি, চুয়েট ও কুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীগণ এবং বুয়েট ও রুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীগণ অংশ নেবে।  

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখিত বিভাগগুলো থেকে চূড়ান্ত বর্ষের দু’জন সেরা শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হবে। সিজিপিএ, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা এবং নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের ওপর শিক্ষাথীদের দেয়া প্রেজেন্টেশনের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে নির্বাচিত করা হবে।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তরুণরাই যেকোনো উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাদের ইতিবাচক বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা, এ প্রোগ্রামটি আইসিটি খাতে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে উজ্জীবিত করবে এবং বিগ ডেটা, আইওটি এর মতো নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান লাভে সহায়তা করবে। যার ফলে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।'

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ঝাং ঝেংজুন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ দেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে হুয়াওয়ে। গত পাঁচ বছর ধরে, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চীনে অবস্থিত হুয়াওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নতুন প্রযুক্তি যেমন ৫জি, ক্লাউড এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞানার্জনের সুযোগ পাচ্ছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং উদ্ভাবনী উপায়ে স্থানীয় চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় সমাধান দিতে পারে।’ 

বৈশ্বিকভাবে সিডস ফর দ্য ফিউচার কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে। এ কর্মসূচিটি বিশ্বব্যাপী ১২৬টি দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫শ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। এদের মাঝে ৫ হাজার ৭৭০ জনেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ লাভের জন্য হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ -এর যাত্রা শুরু হয়।