ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিশ্বমানের ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছে সিনেসিস আইটি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ২১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৬:২১, ২১ অক্টোবর ২০২০
বিশ্বমানের ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছে সিনেসিস আইটি

করোনা পরিস্থিতে কাজের ক্ষেত্রে অনলাইনে মিটিং ও প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর ব্যবহার ভবিষ্যতেও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে দেশের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি বিশ্বমানের একটি ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাট নিয়ে আসতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির আরএনডি শাখা ইতোমধ্যে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সন্নিকটে রয়েছে। 

বর্তমানে যে সকল ওপেন সোর্স প্লাটফর্ম রয়েছে সেগুলো ২০ জনের বেশি কোনো লোড নিতে পারে না, সঙ্গে যুক্ত হয় বিরক্তিকর শব্দ এবং এর কোনোটাতেই কোনো অডিও সিস্টেম নিয়ে কাজ করা যায় না। এছাড়া এগুলোতে ৪/৫ জনের কনফারেন্স ভালো হয়, কিন্তু ১০/১৫ জনের বেশি হলে আর পারে না। ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি বর্তমানে জুম, গোটুমিটিং, ব্লুজিন্স এর মতো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা সারা বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।

এগুলো থাকার পরও ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করার কারণ জানতে চাইলে সিনেসিস আইটির গ্রুপ সিইও রূপায়ন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের প্ল্যাটফর্মে মৌলিক এমন কিছু থাকবে যা ব্যবহারকারীদের অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা দেবে। আমরা কয়েকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে কাজ শুরু করি, সেগুলো হচ্ছে একটা ভিডিও মিটিংয়ে ১২০০ এর মতো অংশগ্রহণকারী থাকবে, অডিও বা সাউন্ড কোয়ালিটি হবে অসম্ভব উচ্চমানের। ব্যবহারকারীরা তাদের পিসি থেকে খুবই কম ব্যান্ডউইথে অনায়াসে এইচডি কোয়ালিটির ওয়েব মিটিং করতে পারবেন, যা কিনা ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সাশ্রয়ী হবে। এছাড়া, এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- সাইবার সিকিউরিটি। আমারা এই সিস্টেমটির প্রতিটি জায়গায় সিনেসিস আইটির নিজস্ব এবং উচ্চ শক্তিশালী সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করছি।’   

প্ল্যাটফর্মটি সম্পর্কে সিনেসিস আইটি’র মার্কেটিং এবং প্রোডাক্ট ইনোভেশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান ‘এটি শুধুমাত্র একটি ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম না বরং এটি আগামীদিনের একটি কোলাবোরেশন এবং ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বিশ্লেষণের একটি মৌলিক প্ল্যাটফর্ম হবে। এই ধরনের কনসেপ্ট নিয়ে একসঙ্গে তিন দেশ- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিজ্ঞ তিনটি টিম একসঙ্গে কাজ শুরু করে। এই প্ল্যাটফর্মটিতে আরও থাকছে ই-হেল্‌থ, ই-লার্নিং এবং ই-গভর্নেন্স এর জন্য বিশেষ ধরনের ফিচার এবং আরও অন্যান্য নানা সুবিধাসমূহ। এছাড়াও, এতে যোগ হতে যাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা প্লাটফর্মটি ব্যবহারে দেবে আরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।’  

এক প্রশ্নের উত্তরে সিনেসিস আইটি’র গবেষণা এবং প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান বিজন কুমার ধর বলেন, ‘যদিও শুরুতে আমাদের বেশ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে কারণ অনেকেই বলেছেন এটা কাগজে কলমে সম্ভব, বাস্তবে নয়। একটু সফলতা আবার ব্যর্থতা এভাবে আমাদের কাজ এগিয়ে গেছে এবং আমরা আশা হারাইনি। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সবাইকে জানাতে চাই, আমরা আমাদের যে লক্ষ্য তার খুব কাছেই আছি। সম্প্রতি আমাদের একটি টেস্টে ১০০ জনের একটি ভিডিও কনফারেন্স শেষ করি এবং সবার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। এখানে ১০০ জনে ৬৪ কোরের সার্ভারের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে। ব্যান্ডউইথের ব্যবহার খুবই সন্তোষজনক হলেও ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে সিস্টেমটিকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। এটি যে ইঞ্জিন তাতে অনায়াসে ৫০০ জনের একটা মিটিং করা যাবে। আমরা প্লাটফর্মটি নিয়ে এমনভাবে কাজ করছি যেন ১২০০ জনের একটি মিটিং অনায়াসে করা যায়, যেখানে জুম সর্বোচ্চ সুবিধা দিচ্ছে ১০০০ জনের।’    

ব্যবসায়িক প্রসার এবং কর্মপরিধি বিস্তারের কারণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সিনেসিস আইটি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতিষ্ঠান রেজিস্টার করে।  এই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি তাদের প্রথম টার্গেট মার্কেট হবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে তারা এটি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়