ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে একযোগে কাজ করবে ভারত: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ২৪ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:৩৭, ২৪ নভেম্বর ২০২০
বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে একযোগে কাজ করবে ভারত: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর ২০২০) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একথা বলেন। ভারতীয় হাই-কমিশনার দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ  এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন। নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো প্রসারিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশ-ভারত আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে  রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্থাপনাসমূহের মধ্যে রয়েছে ১২টি জেলায় ৭ তলা (প্রতি তলা ১৫,০০০ বর্গফুট) মাল্টিটেনেন্ট ভবন নির্মাণ (স্টিল স্ট্রাকচার), ১২টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৭,০০০ বর্গফুট) ক্যান্টিন ও এমপি থিয়েটর ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার), ৮টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৬,০০০ বর্গফুট) ডরমিটরি ভবন (আর সিসি স্ট্রাকচার) এবং ১২টি জেলায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ-ভারত আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬টি স্থানে হাই-টেক পার্কের বিদ্যমান অবকাঠামোতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হবে। 

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়