পেটের দায়ে চুরি করছে বানর: গবেষণা
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
পেটের ক্ষুধার দায়ে চুরির পথ বেছে নেন কেউ কেউ। মানব সমাজে এমন ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এবার জানিয়েছেন, পেটের দায়ে চুরির পথ বেছে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার উলুওয়াতু মন্দিরে বসবাসকারী ম্যাকাউ বানররা। মন্দিরে আগত পর্যটকদের জিনিসপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে চুরি করে তারা এবং বিনিময় হিসেবে খাবারের জন্য জোরাজুরি করে থাকে, এমনটাই বলা হয়েছে গবেষণায়।
বানরের নজিরবিহীন এই আচরণ লক্ষ্য করেছেন কানাডার লেথব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা আরও খেয়াল করেছেন, বয়স্ক এবং অভিজ্ঞ বানরগুলো মোবাইল ফোনের মতো দামি জিনিসপত্রগুলোকে টার্গেট করে এবং এসবের জন্য আরো বেশি খাবারের দাবি করে থাকে।
দুই বছরের ভিডিও রেকর্ডিং পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়। দেখা গেছে, বানরগুলো পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে যায় কিংবা অলক্ষ্যে চুরি করে এবং খাবার নিয়ে পর্যটকদের ফেরত আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকে। জিনিসের বিনিময় হিসেবে পর্যটকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পাওয়ার পরই কেবল বানরগুলো তা ফিরিয়ে দেয়। ন্যায্য বিনিময় না হলে ফেরত দেয় না।
গবেষকদের মতে, বয়স্ক বানরগুলো শিখে নিয়েছে কোন জিনিসগুলো মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সেগুলো অর্জনের লক্ষ্যেই কাজ করে। এমনকি খাবারের লোভে বানরগুলো ছিনিয়ে নেওয়া জিনিসপত্রের কোনো ক্ষতিও সাধন করে না। গবেষণাপত্রটি ফিলোসফিক্যাল ট্রানজেকশন অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষকরা বলেন, জিনিসপত্র চুরি বা ছিনতাই এবং এর বিনিময়ে খাবারের দাবির বিষয়টি ম্যাকাউ বানরগুলোর জন্য জ্ঞানসম্মতভাবে চ্যালেঞ্জিং কাজ, যা নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া প্রকাশ করে। পেটের দায়ে এ ধরনের পথ বেছে নেওয়া মুক্ত-প্রজাতির প্রাণীদের ক্ষেত্রে প্রথম উদাহরণ হতে পারে।’
ঢাকা/ফিরোজ
আরো পড়ুন