ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অ্যাডা লাভলেস ডেটাথন বিজয়ীদের সম্মানিত করল বিডিওএসএন 

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
অ্যাডা লাভলেস ডেটাথন বিজয়ীদের সম্মানিত করল বিডিওএসএন 

প্রতি মুহূর্তে বিশ্বে লাখ লাখ তথ্যের জন্ম হচ্ছে। আবার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্যের হালনাগাদও হচ্ছে। নানা জরিপের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ শেষে তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডেটা সায়েন্স। আর ডেটা সায়েন্স বিষয়ক প্রতিযোগিতাকে বলা হয় ডেটাথন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘হারউইল’ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) এনাবলিং সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ফর বাংলাদেশ (ইএসডিজি৪বিডি) প্রকল্প শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েদের নিয়ে অ্যাডা লাভলেস ডেটাথন ২০২১ এর আয়োজন করে।

বিশ্বের প্রথম নারী প্রোগ্রামার ও বিখ্যাত ব্রিটিশ কবি লর্ড বায়রনের মেয়ে অ্যাডা লাভলেসকে স্মরণ করতে তার নামে আয়োজিত অ্যাডা লাভলেস সেলিব্রেশন ২০২১ -এর অংশ হিসেবে এই ডাটাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এই ডেটাথনে বিজয়ী সেরা তিন টিমকে সম্মানিত করে প্রাইজমানি হাতে তুলে দিল বিডিওএসএন। রাজধানীর ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এই প্রাইজমানি তুলে দেয়া হয়। বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসান রবিন এবং ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের হেড অব বিজনেস নাজিব রাফে ডিউক বিজয়ীদের হাতে প্রাইজমানি এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন। 

উল্লেখ্য,কোভিড ১৯ এর কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কেমন প্রভাব পড়েছে তার ওপর একটি জরিপ করেন জাপানের টকুশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উচিউমি ও তার টিম। সেই জরিপটিকেই ডেটা সায়েন্সের প্রজেক্টের জন্য বেছে নিয়ে এই ডাটাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৮টি টিমের ১৪৪ জন মেয়ে তাদের প্রজেক্ট জমা দেয়। দেশি-বিদেশি মেন্টর, সুপারভাইজার ও বিচারকদের সমন্বয়ে একটানা ৪৮ ঘণ্টার ডেটাথন শেষে চূড়ান্তভাবে ৩টি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এ প্রতিযোগিতায় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (গাজীপুর) টিম রিইনফোর্সড নুবস চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম টেসেরা প্রথম রানার আপ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ডিইউ হুরুক্কা দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়। প্রাইজমানি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলকে ১৫ হাজার টাকা, প্রথম রানার আপ দলকে ১০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপ দলকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। 

ডাটাথন প্রতিযোগিতা সম্পর্কে চ্যাম্পিয়ন টিম রিইনফোর্সড নুবস এর রিসন সায়েরা বলেন, ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন হলো ‘মেশিন লার্নিং’। এই ক্ষেত্রটি সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুব কম ছিল। ডেটাথনে অংশ নিয়ে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ।ডেটাথনের আগে চারটি কর্মশালায় হাতে-কলমে একেবারে শুরু থেকে কিভাবে একটি এমএল মডেল তৈরি করতে হয় এবং বাস্তব জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করতে হয় তা শেখানো হয়। তিনি আরো জানান, টিমওয়ার্ক করে কাজ করাই তাদের চ্যাম্পিয়ন করে তুলতে সাহায্য করেছে। যেহেতু ক্যাগল একটি রিয়েলটাইম প্লাটফর্ম নয় সেহেতু তাদের প্রতি এক সেকেন্ডে সমন্বয় করতে হয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়