ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

৫জি প্রযুক্তির ই-সিম সুবিধার স্মার্টফোন!

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ১৫ জুন ২০২১  
৫জি প্রযুক্তির ই-সিম সুবিধার স্মার্টফোন!

বিশ্বে প্রথমবারের মতো ৫জি এসএ-কমপ্যাটিবল ই-সিম সংযুক্ত স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপো। প্রতিষ্ঠানটির নতুন ফ্ল্যাগশিপ অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো ৫জি ফোনে থাকছে এই প্রযুক্তি। শীর্ষস্থানীয় ই-সিম সংযোগ ব্যবস্থাপনার সংস্থা থ্যালিসের সহযোগিতায় এই বিশেষ সিমটি তৈরি করা হয়েছে। ই-সিমভিত্তিক এই ফোন ব্যবহারকারীদেরকে ৫জি নেটওয়ার্ক নিশ্চিতের মাধ্যমে উন্নত স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা দেবে।

স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচের মতো হ্যান্ডি ডিভাইসে এক মিলিমিটার জায়গাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দুইটা ২এফএফ সাইজের সিমকার্ডের জন্য জায়গা রাখা তাই একধরনের অপচয়। এ কারণে গতো একদশকে সিমকার্ডের সাইজে এসেছে পরিবর্তন। মিনি সিমকার্ডের চেয়ে মাইক্রো কিংবা ন্যানো সিমকার্ডের ব্যবহার এখন বেশি। এরপরও দুইটা ন্যানো সিমের জন্য স্মার্টফোনে বা স্মার্টওয়াচে যতোটুকু জায়গা প্রয়োজন হয়, সেটা কমিয়ে আনতে পারলে জায়গাটা আরো ভালোভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকে।। এই চিন্তা থেকে মূলত ই-সিমের আবির্ভাব।

বর্তমানে প্রচলিত ন্যানো সিমের চেয়েও অনেক ছোট ই-সিম। একধরনের কানেক্টিং চিপ হিসেবে এটি ডিভাইসের মাদারবোর্ডে সংযুক্ত করা হয়; ডিভাইস তৈরির সময়ই। তাই এটাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল সিমকার্ডও বলা যায়। শুধু ডিভাইস নির্মাতাদের জন্যই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যও ই-সিম নানাভাবেই সুবিধাজনক। যেমন: আলাদা সংযোগদাতার জন্য আলাদা সিমকার্ড ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না। প্রয়োজনমতো বিভিন্ন কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্বে ই-সিম প্রযুক্তি নতুন কিছু নয়। তবে অপো এবং থ্যালিস বিশ্বে প্রথমবারের মতো ৫জি এসএ নেটওয়ার্ক সমর্থিত ই-সিম প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরি করেছে।

অপোর ক্যারিয়ার প্রোডাক্ট বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর জিয়া ইয়াং বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল টেকনোলজি সংস্থা হিসেবে অপো প্রথম থেকেই ৫জি প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাচ্ছে। আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য উদ্ভাবনী ৫জি অভিজ্ঞতা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই অভিজ্ঞতা নিশ্চিন্তের ক্ষেত্রে ই-সিম প্রযুক্তিকে একটি বিস্ময়কর সম্ভাবনা হিসাবে দেখি।’ 

অপো এবং থ্যালিস ই-সিম সার্ভারের বৈধতা, ডিভাইস ডিবাগিং, যাচাইকরণ, ফাংশন ডেভলপমেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্ভাবনী ই-সিম সলিউশন ফাইন্ড এক্স ৩ প্রো-তে সংযুক্ত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে যৌথভাবে নেটওয়ার্কের উপযুক্ত ব্যবহার পরীক্ষা করার জন্যও কাজ করেছে অপো এবং থ্যালিস, যেন ব্যবহারকারীরা তাদের ফাইন্ড এক্স ৩ প্রো দিয়ে একই সঙ্গে দুটি সক্রিয় লাইন (অপসারণযোগ্য সিম এবং ই-সিম) উপভোগ করতে পারেন। তাছাড়া থ্যালিসের এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যে বিল্ট-ইন সেলুলার সংযোগ সহ অপোর প্রথম স্মার্টওয়াচ ‘অপো ওয়াচ’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অপো ২০১৮ সালে ই-সিম প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও বিকাশের কাজ শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ই-সিম সমর্থিত বেশ কিছু স্মার্টফোন এবং স্মার্টওয়াচ বাজারে পরিচয় করিয়েছে। ৫জি ই-সিম সমর্থিত ফোন ফাইন্ড এক্স ৩ প্রো অপোর শক্তিশালী প্রযুক্তিগত দক্ষতা, দূরদর্শিতার পাশাপাশি ৫জি নেটওয়ার্কের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিষ্ঠানটির একনিষ্ঠ বিনিয়োগের চেষ্টার প্রতিফলন বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়