ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফোনে যেসব প্রযুক্তি প্রথম এনেছে ভিভো

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৫ জুন ২০২১  
ফোনে যেসব প্রযুক্তি প্রথম এনেছে ভিভো

আধুনিক জীবনে গতিই সবকিছু। যার সঙ্গে তাল মেলাতে সহায়তা করছে স্মার্টফোনের মতো অত্যাধুনিক ডিভাইসগুলো। গ্রাহকদের প্রযুক্তি চাহিদা মেটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোও।  

নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সংযোজনে শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে অন্যতম স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান ভিভো। ফ্রন্ট ক্যামেরায় ওআইএস, গিম্বল স্ট্যাবিলাইজার ২.০, পপআপ, ডুয়াল পপআপ ক্যামেরা, ইনডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি, মাল্টি টারবো’র মতো প্রযুক্তিগুলো স্মার্টফোনে সর্বপ্রথম নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি।

ওআইএস ফ্রন্ট ক্যামেরা: ভিভো তাদের বিভিন্ন স্মার্টফোনে ব্যবহার করেছে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার (ওআইএস) এবং ইলেকট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার (ইআইএস)। সর্বশেষ দেশের বাজারে আসা ভিভো ভি২১ স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরায় ওআইএস আনে ভিভো। স্মার্টফোন নির্মাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো এর আগে রিয়ার ক্যামেরায় ওআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও, ফ্রন্ট ক্যামেরায় ভিভোই প্রথম এই প্রযুক্তি এনেছে। ফ্রন্ট ক্যামেরায় এই প্রযুক্তির সংযোজন ক্যামেরা প্রযুক্তিতে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। 

গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশনস: ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে স্ট্যাবিলাইজেশনস বা স্থিতিশীলতা প্রায়ই একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যার সমাধানে পেশাদার ফটোগ্রাফাররা ব্যবহার করে গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশনস। ভিভো তাদের স্মার্টফোনে এই গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশনস লেন্স নিয়ে এসেছে। লেন্সের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান কার্ল জেইসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আনা এই প্রযুক্তিটি হলো গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশনস ২.০।

পপআপ এবং ডুয়াল-পপআপ ক্যামেরা: স্মার্টফোন বাজারে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্মার্টফোনে পপআপ ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে আসে ভিভো। পরে ভিভোর এই প্রযুক্তি অনুসরণ করতে থাকে অন্য ব্র্যান্ডগুলোও। ২০১৯ সাল নাগাদ দেশের স্মার্টফোনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে পপআপ ক্যামেরা। ভিভো ভি১৫প্রো’তে প্রথম যুক্ত করা হয় পপআপ ক্যামেরা প্রযুক্তি। পরে একই প্রযুক্তির সঙ্গে স্বল্পমূল্যে আসে ভিভো ভি১৫। 

ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি: স্মার্টফোন দুনিয়ায় সর্বপ্রথম ভিভো পরিচয় করিয়ে দেয় ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি। দেশের বাজারে এখন ভিভোর বাজেট ফোনগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট। এই উদ্ভাবন স্মার্টফোন দুনিয়ায় একটি মাইলস্টোন তৈরি করেছে। 

মাল্টি-টারবো ইঞ্জিন: স্মার্টফোনে গেমিংয়ের চূড়ান্ত উত্তেজনার সময়েও সর্বোত্তম পারফরম্যান্স দেয় মাল্টি টারবো ফিচার। মাল্টি টারবো ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে গেম টারবো, সেন্টার টারবো, কুলিং টারবো এবং এআই টারবো। এই ফিচারগুলো গেমিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরো মসৃণ ও দ্রুত করে। গেম টারবো ফিচারটি পাবজি’সহ জনপ্রিয় সব গেম খেলতে সহায়তা করবে। সেন্টার টারবো ফিচারটি সিপিইউ এবং ইন্টারনাল স্টোরেজকে প্রাধান্য দেয়; যাতে গেমের মাঝখানে আটকে যায় না। ফলে গেমিং আরো আনন্দদায়ক হয়।       

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়