ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের দ্বিতীয় পর্বে ১২৭ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১৮:২১, ৩০ জুন ২০২১   আপডেট: ১৮:২২, ৩০ জুন ২০২১
বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের দ্বিতীয় পর্বে ১২৭ শিক্ষার্থী

এ সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্বে যাচ্ছে হুয়াওয়ে ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন’। এ পর্বে ১২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।

এ বছরের জানুয়ারিতে এ প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব শুরু হয়, যেখানে দেশের প্রায় ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চতুর্থ বর্ষের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ ছয় মাসে শিক্ষার্থীরা আইসিটি খাতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে বিভিন্ন অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম পর্বে প্রশিক্ষণের সময়, ধারাবাহিকতা ও পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১২৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ পর্বে, শিক্ষার্থীরা এইচসিআইএ (হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট) থেকে ১৫ দিনের অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার তৃতীয় পর্বে উন্নীত হতে তাদের আরেকটি পরীক্ষা দিতে হবে। 

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘যেসব তরুণ প্রকৌশল বিষয়ে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ন করছেন তাদের জন্য বিশেষভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে ও বিসিসি। এটা দেখে ভালো লাগছে যে, মেধাবী অনেক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে এবং এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তারা বিকশিত হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, এ প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষার্থীরা আইসিটি খাত নিয়ে বিস্তৃতভাবে জানতে পারবে এবং বৈশ্বিক আইসিটি বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করবে।’

হুয়াওয়ের টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও টেকসই অবস্থা নিশ্চিত হওয়া নির্ভর করে। বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের মূল উদ্দেশ্য– এ দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিত্তি দৃঢ় করা। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্যই কাজ করছে। এজন্য বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন কিছু করতে পেরে আমরা গর্বিত।’ 

এ প্রতিযোগিতার তৃতীয় ও ফাইনাল পর্ব জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্ব থেকে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীরা দল গঠন করবেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক দলে থাকবেন ৩ জন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক। হুয়াওয়ে হেডকোয়ার্টার থেকে প্রশিক্ষকগণ প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। তারপর শিক্ষার্থীদের একটি সিমুলেশন টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর তিনটি দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে হুয়াওয়ে ল্যাপটপ অথবা হুয়াওয়ে মোবাইল ও হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচ কিংবা স্মার্ট ব্যান্ড প্রদান করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের আঞ্চলিক ফাইনাল ও বৈশ্বিক ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা চীনের শেনঝেনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে যাবে। ভবিষ্যতে তাদের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সঙ্গে কাজ করার সুযোগও থাকতে পারে।

বাংলাদেশে আইসিটি ক্ষেত্রে মেধাবীদের পাশাপাশি উদ্ভাবন উৎসাহিত করতে হুয়াওয়ে চারটি কর্মসূচি আয়োজন করবে। যার মধ্যে প্রথম কর্মসূচি হচ্ছে: ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২১’। বাকি তিনটি কর্মসূচি হচ্ছে: ‘আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার’, ‘হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি’ এবং ‘কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্টআপ’। 

হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি  প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বুয়েটের সঙ্গে চুক্তি করেছে হুয়াওয়ে। একাডেমি স্থাপনার কাজ চলছে যা খুব দ্রুত শেষ হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়