ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফরচুন ‘গ্লোবাল ৫০০’ কোম্পানির তালিকায় শাওমি

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ৩ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৬:৫৯, ৩ আগস্ট ২০২১
ফরচুন ‘গ্লোবাল ৫০০’ কোম্পানির তালিকায় শাওমি

চীনা প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি তৃতীয়বারের মতো ফরচুন ‘গ্লোবাল ৫০০’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। ২০২১ সালের তালিকায় ২০২০ সালের চেয়ে ৮৪ ধাপ এগিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান ৩৩৮তম; যা ২০২০ সালে ছিল ৪২২তম। ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় ইন্টারনেট ও রিটেইল ক্যাটাগরিতে ২০২১ সালের দ্রুততম প্রবৃদ্ধির কোম্পানি হিসেবে তারা এই অবস্থান দখল করেছে। 

শাওমির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও সিইও লেই জুন বলেন, ‘শাওমি এখনও তরুণ কিন্তু উচ্চাভিলাষী একটি প্রতিষ্ঠান যা প্রেরণায় পরিপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী শাওমির ফ্যানদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই কেননা তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনই শাওমিকে করেছে প্রাণবন্ত ও উদ্যোমী। আমার বিশ্বাস, সামনের বছর ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় শাওমি আরো অসামান্য রেকর্ড অর্জন করবে।’

প্রতিষ্ঠানটির আয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে শাওমি মোট আয় করেছে ২৪৫.৯ বিলিয়ন ইউয়ান, এটাই তাদেরকে ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় ৩৩৮তম স্থানে তুলে এনেছে। ২০২১ সালেও তারা দ্রুত প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, এ সময় কোম্পানিটি অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি করতে পেরেছে আয় ও মুনাফায়; যা প্রত্যাশিত আয়কে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে শাওমি আয় করেছে ৭৬.৯ বিলিয়ন ইউয়ান (চীনা মুদ্রা), যা বার্ষিক হিসেবে বেড়েছে ৫৪.৭ শতাংশ। এই সময়ে মুনাফা এসেছে ৬.১ বিলিয়ন ইউয়ান, মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬৩.৮ শতাংশ। 

ক্রমবর্ধমাণ এই প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে বাজারে হাই-এন্ড ক্যাটাগরির স্মার্টফোন, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত প্রবৃদ্ধি এবং কোম্পানির নতুন রিটেইল ব্যবসার উন্নয়ন। হাই-এন্ড ফোনের বাজারে শাওমি মি ১০ ও মি ১১ সিরিজ দিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পেরেছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনের মূল ভূখণ্ডে ও বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠানটি ৪০ লাখের বেশি স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে, যার ডিভাইস প্রতি গড় মূল্য চীনে ৩০০০ ইউয়ান এবং বিশ্ব বাজারে ৩০০ ইউরোর চেয়ে বেশি। 

শাওমির বৈশ্বিক সম্প্রসারণ প্রবৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়েছে। গত ১৭ জুলাই বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস শাওমিকে বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় ঘোষণা করেছে, এ সময় শাওমির সরবরাহ করা স্মার্টফোনের হিসাবে অ্যাপলকে পেছনে ফেলে, আর বাজার শেয়ার দখল করে ১৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজার হিসেবে ল্যাতিন আমেরিকায় বছরে ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে, আফ্রিকার বাজারে প্রবৃদ্ধি করেছে ১৫০ শতাংশের বেশি, এ ছাড়া অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি পূর্ব ইউরোপে, যা ৫০ শতাংশ। শাওমির স্মার্টফোন এখন বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১২টি বাজারে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। সর্বশেষ ১৫ প্রান্তিকে ভারতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে শাওমি।  

নতুন রিটেইলের ক্ষেত্রে ২০২০ সাল থেকে শাওমির ফিজিক্যাল স্টোরগুলোর দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চীনে মি হোম স্টোরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০০ এর বেশি, এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে ১ হাজারের বেশি মি স্টোর রয়েছে। এর পাশাপাশি সারা বিশ্বেই শাওমির ফিজিক্যাল রিটেইল নেটওয়ার্ক খুব দ্রুত গড়ে তোলা হচ্ছে। 

স্মার্টফোন, এআইওটি এবং স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি স্মার্ট ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারেও প্রবেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সালের মার্চে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে, সিইও লেই জুনের নেতৃত্বে শাওমি ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এ জন্য এ খাতে আগামী ১০ বছরে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে শাওমি। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ করবে ১০ বিলিয়ন ইউয়ান বা ১.৫৫ বিলিয়ন ডলার। স্মার্ট ইলেকট্রিক গাড়ি শাওমির জন্য নতুন চালিকাশক্তি হবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়