পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল ওয়ালেট চালু করল কমভিভা

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সল্যুশন কোম্পানি কমভিভা ৪ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশে বাজারে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল ওয়ালেট ও পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘মোবিকুইটি পে এক্স’ চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

মোবিকুইটি পে এক্স বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বজুড়ে ৭০টির বেশি ডিজিটাল ওয়ালেট পরিচালনা এবং প্রত্যেকদিন ৭ বিলিয়নের বেশি ও বাৎসরিক প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করে।

মোবিকুইটি পে এক্সে রয়েছে উন্মুক্ত এপিআই যা একে সহজেই থার্ড পার্টি সিস্টেমে যুক্ত হতে ও ফিনান্সিয়াল ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণে সাহায্য করে। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য, প্ল্যাটফর্মটি ভোক্তা, এজেন্ট, মার্চেন্ট এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য একটি অত্যাধুনিক সহজবোধ্য মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে।

এই নতুন প্ল্যাটফর্মটি শক্তিশালী অথেনটিকেসন ও অথোরাইজেশন মডিউলের সাহায্যে উল্লেখযোগ্যহারে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। এটি গ্রাহককে সুবিধা অনুযায়ী সহজে পিন, পাসওয়ার্ড ও অ্যাকসেস প্রক্রিয়া সমন্বিত করে নেওয়ার সুবিধা প্রদান করে। এটির আধুনিক সেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সকল অ্যাকটিভ সেশন ও লগইন ডিভাইস সনাক্ত করে সে অনুযায়ী অ্যাকশন নিয়ে থাকে ফলে সহজেই প্রতারণা কিংবা জালিয়াতি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

লঞ্চিং ইভেন্টে বাংলাদেশে কমভিভার কান্ট্রি ম্যানেজার মো. আরিফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্টস খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আমি খুবই আনন্দিত। এদেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি যেন তারা আমাদের সেবার মাধ্যমে তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ডগুলো সুস্থির ও সুষম করে তুলতে পারে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেমেন্টসের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে।

কমভিভার এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের গ্লোবাল হেড ভিভেক আগারওয়াল বলেন, কোভিড ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রবৃদ্ধিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করেছে এবং সম্পূর্ণ ফিনান্সিয়াল ইকোসিস্টেম দ্রুততম গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে যোগাযোগহীন অর্থ আদান-প্রদানে জোর দিচ্ছে এবং আমাদের আধুনিক মোবিকুইটি পে এক্স প্ল্যাটফর্ম আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীদের তাদের ডিজিটাল ওয়ালেট এবং পেমেন্ট পরিষেবাগুলোকে দ্রুত এবং নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।

নতুন মোবাইল অ্যাপটিতে স্ব-নিবন্ধন, বায়োমেট্রিক লগইন, প্রোফাইল ব্যক্তিগতকরণ, একাধিক ডিভাইসের মাধ্যমে অর্থ প্রদান (প্রিপেইড ওয়ালেট, কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট), ফেভারেট ট্রানজ্যাকশন, বহু-মুদ্রা সহায়তা, মুদ্রা রূপান্তর, রিয়েল টাইম লেনদেন ট্র্যাকিং, রেফারেল বোনাস, মার্চেন্ট/এজেন্ট লোকেটার, ডায়নামিক কিউআর কোডসহ আরো অনেক সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।