ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দেশের অর্থনীতিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার অবদান রেখেছে উবার

প্রকাশিত: ২০:২৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  
দেশের অর্থনীতিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার অবদান রেখেছে উবার

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট প্রকাশ করলো উবার। রাজধানী ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রিপোর্টটি উন্মোচন করা হয়। রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক নীতি গবেষণা সংস্থা পাবলিক ফার্স্ট।

২০২১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৪,৫০০ কোটি টাকা অবদান রাখার মাধ্যমে কীভাবে উবার যাত্রী, চালক ও সমাজের জন্য অন-ডিম্যান্ড অর্থনীতির পরিবর্তনে সাহায্য করেছে, রিপোর্টে সে বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো: 

* ২০২১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আনুমানিক ৪,৫০০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে উবার। এর মধ্যে উবারের মাধ্যমে চালকদের উপার্জনের প্রভাব এবং বৃহত্তর পরিসরে কোম্পানির বিস্তৃত সরবরাহ ব্যবস্থায় পরোক্ষ ও বহুমুখী প্রভাব উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  

* একই বছরে উবারের রাইড কনজিউমার সারপ্লাসে ৭,০০০ কোটি টাকা উৎপাদন করেছে, যা মোটামুটিভাবে দেশের জিডিপির ০.২৫%
যাত্রী ও চালকদের ওপর প্রভাব। 

* ৯০ শতাংশ যাত্রী বলেন, যাতায়াতকালীন স্বস্তি তাদের উবার ব্যবহার করার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আনুমানিকভাবে, বছরে উবার যাত্রীদের ১ কোটি ৭০ লাখ ঘণ্টা সাশ্রয় করে। যাত্রীদের মতে, গত এক দশকে পরিবহন খাতে তাদের দেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনটি হলো রাইডশেয়ারিং। 

* ৭৩ শতাংশ চালক বলেন, ২০২১ সালে তারা উবার নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। এর মাধ্যমে গত বছর তারা অতিরিক্ত ৫২.২ কোটি টাকা আয় করেছেন, যা তাদের সম্ভাব্য পরবর্তী সেরা বিকল্প আয় বা কাজের উৎসের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি।    

* ৯০ শতাংশ নারী যাত্রী জানান, তাদের উবার বেছে নেওয়ার পেছনে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এবং ৭২ শতাংশ নারী যাত্রী একমত যে, রাতে দেরি করে বাড়ি পৌঁছানো এখন আগের তুলনায় সহজ।

* ব্যক্তিগত গাড়ি নেই এমন ৮৪ শতাংশ যাত্রী বলেন, উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের সহজলভ্যতার কারণে তারা নিজেদের গাড়ি না কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন।    

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এই রিপোর্ট উন্মোচন উপলক্ষে বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের অভিযাত্রায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জোয়ারে এই গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, সেই লক্ষ্য অর্জনে উবারের মতো আরোও ব্র্যান্ড আামদের উন্নয়নের অংশীদার হবে। দেশের অর্থনীতিতে উবারের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উবারের প্রবৃদ্ধি ও আরো কার্যকর অবদানের প্রত্যাশা করছি।’

উবারের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশনস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর মাইক অরগিল এই রিপোর্ট সম্পর্কে বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সুযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে উবার। কিন্তু আমাদের অবদানের ব্যাপ্তি সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা ছিল না। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চালক, যাত্রী ও অর্থনীতির ওপর অবদানের সার্বিক প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এটি নিজের কাজের সময়ের ওপর নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব তুলে ধরে। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে আরও তুলে ধরা হয়েছে, যাতায়াতের উন্নত ব্যবস্থা কীভাবে মানুষকে নিরাপদে চলাচলের সুযোগ করে দেয় এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের সমাজের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রযুক্তি ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর প্রতিজ্ঞা আরও দৃঢ় হয়।’

রিপোর্ট তৈরির পদ্ধতিসহ পুরো রিপোর্ট দেখুন এখানে

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়