ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিদায়লগ্নে হাসিখুশি ‘ফাহিম স্যার’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিদায়লগ্নে হাসিখুশি ‘ফাহিম স্যার’

সবাই তো আপনাকে ‘ফাহিম স্যার, ফাহিম স্যার’ বলে ডাকে। আপনি কখনো শুধু ফাহিম নাম শুনেছেন? বিসিবির পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি প্রশ্ন করছিলেন নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। ফাহিম ‘স্যার’ উত্তর দিলেন, ‘এই মাত্র আপনি ডেকে বেয়াদবি করলেন ...! – হাসির রোল পড়ে যায় সাজ্জাদুল আলম ববির রুমে।

রোববার ক্রিকেটাঙ্গানের দুই অতি পরিচিত, প্রিয় মুখ ও নিপাট ভদ্রলোকের আড্ডা বসেছিল মিরপুরে। উপস্থিত ছিলেন দশেক ক্রীড়া সাংবাদিকও। প্রায়ই ওখানে আড্ডা হয়। ক্রিকেট নিয়ে কথা হয়। আলোচনায় থাকে দেশ, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে। বাদ যায় না বিনোদন জগৎও।

তবে আজকের আড্ডা ছিল বিশেষ কিছু। হয়তো শেষবারের মতো ওই রুমে একসঙ্গে বসেছেন সাজ্জাদুল আলম ববি ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম! ১৪ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাজমুল আবেদীন। তাঁকে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের অভিভাবক। সাকিব-মুশফিকদের দুঃসময়ের নির্ভরতার নাম প্রিয় ‘ফাহিম স্যার’। কিন্তু হঠাৎ বিসিবিতে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও ভেতরের খবর, বিসিবির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বনিবনা হচ্ছিল না তাঁর। এ কারণে ক্ষোভ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডে শেষ দিন কাটাবেন নাজমুল আবেদীন। বিদায় বেলায় বোর্ড পরিচালক সাজ্জাদুল আলম স্মারক উপহার হিসেবে দিয়েছেন হেলমেট যুক্ত চাবির রিং। মজা করেই নাজমুল আবেদীন বলে উঠেন,‘আমার পরবর্তী ক্যারিয়ারের জন্য হেলমেট খুব প্রয়োজনীয়। নিরাপত্তা দেবে।’ 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুর দিকে যারা ছিলেন তারা প্রায় প্রত্যেকেই এখন বিসিবির বাইরে। নাজমুল আবেদীন শেষ ব্যক্তি হিসেবে বিসিবির চাকরি ছাড়ছেন। এর আগে তারই বন্ধু সারোয়ার ইমরান বিসিবির চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। ১৪ বছর বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন নাজমুল আবেদীন। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের উইকেট তার হাতে বানানো। কিউরেটর ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর ম্যানেজ্যার, কোচ, ডেভেলাপমেন্ট বিভাগ, বয়সভিত্তিক কোচ ও নির্বাচক এবং  নারী দল নিয়ে কাজ করেছেন। সবশেষ বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করেছেন নাজমুল আবেদীন।

হাজারো স্বপ্নের নীরব কারিগর নিজের পুরো সফর নিয়ে কথা বলতে রাজী হলেন না। বললেন,‘৩০ তারিখের পর সব বলবো।’  আগামীকাল সোমবার সেই দিন। যেদিন প্রিয় কর্মস্থল থেকে বিদায় নেবেন নাজমুল আবেদীন। জানেন না তার জন্য কোনো ফেয়ারওয়েল আছে কিনা। জানতেও চান না!  বিদায় নিতে চান মাথা উঁচু করে। আড়ালের নায়কের একটাই চাওয়া,‘আমরা যাদের জন্য কষ্ট করেছি তারা মনে রাখুক আমাদের কথা তাহলেই হবে...।’ – বলতে গিয়েও থেমে যান। কারণ তার কথা বলায় আছে ‘নিষেধাজ্ঞা।’ কথা দিয়েছেন ৩০ তারিখের পর সব বলবেন।




ঢাকা/ইয়াসিন/শামীম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়