ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাংলাদেশের দিবারাত্রির টেস্টে এসজি গোলাপি বলের ‘অভিষেক’

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ৩১ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশের দিবারাত্রির টেস্টে এসজি গোলাপি বলের ‘অভিষেক’

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নিজেদের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এই টেস্ট দিয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে এসজি গোলাপি বলেরও।

ইন্দোরে দুই দলের প্রথম টেস্ট হবে এসজি লাল বল দিয়ে। কলকাতায় দ্বিতীয় টেস্টেও তাই এসজি বল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এসজি গোলাপি বলে টেস্ট খেলা হবে এবারই প্রথম।

বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি পিটিআইকে বলেছেন, ‘আশা করি এসজি (বল ব্যবহৃত হবে), কারণ প্রথম টেস্ট এসজি বলে হবে। দ্বিতীয় টেস্টও তাই এসজি বলেই হবে।’

ভারতে টেস্ট বা ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, দুই ক্ষেত্রেই এসজি লাল বল ব্যবহার করা হয়। তবে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গত কয়েক বছর গোলাপি বল হিসেবে কোকাবুরা ছিল বিসিসিআইয়ের প্রথম পছন্দ।

সৌরভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি থাকার সময়ই ভারতে প্রথম গোলাপি বলে খেলা হয়। ২০১৬ সালে দুলীপ ট্রফিতে কুকাবুরা গোলাপি বলে খেলা হয়েছিল। অন্য দেশগুলোতেও গোলাপি বল হিসেবে কুকাবুরা বা ডিউক বলের ব্যবহার বেশি।

কলকাতা টেস্টেও তাহলে কেন কুকাবুরা গোলাপি বল নয়, সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সৌরভ, ‘এটা হতে পারে না, কারণ একই বল দিয়ে পুরো সিরিজ খেলতে হবে। একই সিরিজে দুটো আলাদা বল ব্যবহৃত হতে পারে না।’

২২ নভেম্বর হতে যাওয়া কলকাতা টেস্টের জন্য এরই মধ্যে এসজির কাছে ৭২টি গোলাপি বলের অর্ডার দিয়েছে বিসিসিআই। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলই গোলাপি বলে অনুশীলন করতে চায়। সে কারণে ৬ নভেম্বরের মধ্যে এসজিকে ৭২টি গোলাপি বল দিতে বলেছে ভারতীয় বোর্ড।

এসজির মার্কেটিং ডিরেক্টর পরশ আনন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ‘আমাদের ৬ নভেম্বরের মধ্যে ৭২টি এসজি বল বিসিসিআইয়ের কাছে পাঠাতে হবে। তারা জানতে চেয়েছিল আমরা সময়মতো বলের যোগান দিতে পারব কি না, এবং টেস্ট ম্যাচে লাল বল ব্যবহারের কাছাকাছি সময়ে গোলাপি বল দিতে পারব কি না।’

এসজি বলের মান নিয়ে অবশ্য নানান সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর এসজি বল নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি বলেছিলেন, এসজি বলের পালিশ এবং কার্যকারিতা কুকাবুরা বা ডিউক বলের চেয়ে আগেই নষ্ট হয়ে যায়।

গোলাপি বল নিয়ে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী এসজির মার্কেটিং ডিরেক্টর, ‘আমরা প্রায় তিন বছর ধরে গোলালি বল নিয়ে গবেষণা করেছি। ৮০ ওভার এই বল ব্যবহার করা যায় কি না, সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বলের রঙ, আকৃতি, সিম, মূল অংশ- সবকিছুই দেখা হয়েছে। এগুলোর ফলাফলও বেশ ভালো।’

লাল বলের চেয়ে গোলাপি বলে ধুলোবালি লাগার সম্ভাবনা বেশি। ফলে বল দ্রুত নোংরা হয়ে যেতে পারে। তখন বলের রং কালচে হয়ে গিয়ে দেখতে অসুবিধা হতে পারে। আরেকটি সমস্যা হতে পারে শিশির। শিশির মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ স্প্রে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে সিএবি। সৌরভ নিজেই জানিয়েছেন, শিশিরের পরিমাণ কমানোর জন্য যা যা করা দরকার, সব করা হবে।


ঢাকা/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়