মুস্তাফিজের খরুচে বোলিংয়ে বিরক্ত হাবিবুল
বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৭ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
রংপুর রেঞ্জার্সের জার্সিতে মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার দেখলে যে কেউই খুশি হবেন। কিন্তু তার বোলিং বিশ্লেষণ করলে সামনে আসবে ভয়াবহ চিত্র!। নিজের প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দেওয়া মুস্তাফিজ শেষ ওভারে ব্যয় করেন ২৬। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক দাসুন শানাকা তার শেষ ওভার চার ছক্কা হাঁকান।
শুরুতে তার বোলিং ভালো হলেও শেষটা হয়েছে নির্বিষ। বোলিংয়ে ছিল না নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। ছিল না কোনো বৈচিত্র্য। দেননি কোনো ইয়র্কার। বরং ফুলটস, শর্ট ও লেন্থ বল করেছেন একের পর এক। হার্ডহিটার শানাকা তার এক ফুলটস পাঠিয়েছেন দৃষ্টি সীমানার বাইরে। তার এমন বোলিংয়ে বিরক্ত জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
‘মুস্তাফিজ এক বছর ধরে মিসিং হয়ে যাচ্ছে। গতকাল প্রথম দুই ওভার সে দারুণ বোলিং করেছে। শেষ ওভারে সে অনেকটা প্রেডিক্টেবল। একই লেন্থে বোলিং করছে, একইভাবে মার খাচ্ছে। এমন তো হবেই। ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করছিল না।’
‘মুস্তাফিজের বোলিংয়ে এখন ইয়র্কার নেই। সে ইয়র্কার পাচ্ছে না। আগে একটা দারুণ ইয়র্কার ছিল বোলিংয়ে। স্লোয়ার বল এখনও আছে। পেসও আস্তে আস্তে বাড়ছে। এখন মোটামুটি ভালো পেসেই বল করছে। কিন্তু ইয়র্কার মিসিং। এটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। মনে হচ্ছে ব্যাটসম্যানরা ওকে পড়ে ফেলছে যে ও কী করতে যাচ্ছে।’ – যোগ করেন হাবিবুল।
নিজ থেকে মুস্তাফিজকে ভাবনার পরামর্শ হাবিবুলের,‘আমার মনে হচ্ছে ওকে চিন্তা করতে হবে। আমরা ম্যাচ শেষে চিন্তা করি যে কী হচ্ছে। তাকে চিন্তা করতে হবে মাঠেই। তাকে চিন্তা করতে হবে ‘‘আমাকে পড়ে পড়ছে আমাকে দ্বিতীয় পরিকল্পনায় যেতে হবে। ’’ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিকেটারদেরও বোঝা উচিত আমার কীভাবে বোলিং করা উচিত। ’
মুস্তাফিজের বাজে বোলিংয়ে প্রভাব পড়ছে দলের উপর। এমনটা বলতেও দ্বিধা করেননি হাবিবুল,‘মুস্তাফিজের বাজে বোলিংয়ে সবার সমস্যা হচ্ছে। সে কিন্তু উইকেট পাচ্ছে। শেষ এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ও। কিন্তু সে খরুচে বোলার হয়ে যাচ্ছে। শেষের দিকে অনেক খরুচে হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ডেথ বোলার কিন্তু মুস্তাফিজ। সে যদি খরুচে বোলিং করে তাহলে কিন্তু পুরো দলের ওপরেই চাপ চলে আসে। সে স্পেশাল বোলার। চাওয়াটা একটু বেশি থাকে। ও যদি খরুচে হয় তাহলে বাকিদের দিয়ে কভার করা মুশকিল।’
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন